নিউজবাংলা ডেস্ক : গোটা দেশে রকেট গতিতে এগিয়ে চলেছে করোনা সংক্রমনের দৈনিক গ্রাফ। কিন্তু তাতেও হুঁশ ফিরছে না কারও। সংক্রমনে রাশ টানতে লকডাউন শেষ অস্ত্র নয় বলে বিশেষজ্ঞরা জানালেও বিপুল ভীড়, জনায়েত যে খুব বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে তা মানছেন সমগ্র চিকিৎসককুল। তাই এখনই খোলা, মেলা, নির্বাচনী জমায়েত বন্ধ করার দাবীতে প্রকাশ্যে সোচ্চার হয়েছেন চিকিৎসকদের একাংশ।
লক্ষণীয় ভাবে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের শুরুতেই ব্যাপক হারে আক্রান্ত হচ্ছেন চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্তরা। ইতিমধ্যে এরাজ্যেই প্রায় ১৫০০ চিকিৎসক কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন বিপুল পরিমানে স্বাস্থ্যকর্মী ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় যুক্তরাও। এই ভাবে চলতে থাকলে শীঘ্রই স্বাস্থ্য পরিষবা চূড়ান্তভবে সংকটের মুখে পড়তে পারে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে যেভাবে খেলা, মেলা ও জমায়েত চলছে রাজ্য তথা দেশজুড়ে তা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেই মনে করছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে সাগর মেলা বন্ধের দাবীতে কলকাতা হাইকোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসকদের দাবী দেশজুড়ে নির্বাচনী জমায়েতেও এখনই নিষেধাজ্ঞা জারী হওয়া উচিত।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় গোটা দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন, মৃত্যু হয়েছে ১৪৬ জনের। পজিটিভিটি রেট ১৩.২৯%। এর জেরে দেশে করোনা আক্রান্তের মোট পরিমান দাঁড়াল ৭,২৩,৬১৯ জন।
এরমধ্যে ওমাইক্রণে আক্রান্ত হয়েছেন ৪০৩৩ জন। এদিকে রাজ্যের স্বাস্থ্য বুলেটিনের খবর, এরাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় এরাজ্যে ১৯ হাজার ২৮৬ জন আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। যার মধ্যে শুধু কলকাতাতেই একদিনে ৫,৫৫৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় দেশজুড়ে ভ্যাকসিনেশানের ওপর জোর দিয়েছেন। ইতিমধ্যে এরাজ্যে সোমবার থেকে বুস্টা ডোজ দেওয়াও শুরু হয়েছে। তবে এই ভ্যাকসিনেশানের উপযোগিতা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তাঁর মতে, ভ্যাকসিনের ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট বেশ পুরানো। করোনার নতুন রূপের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এগুলো কতটা কার্যকরী সেই নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি