নিউজবাংলা ডেস্ক, পাটনা : এমবিএ চাওয়ালা কিংবা এমএ পাশ চাওয়ালির গল্প শুনেছে দেশ। এবার গ্র্যাজুয়েট চাওয়ালির দেখা মিলল বিহারের পাটনায়। পাটনা মহিলা কলেজের সামনে চায়ের পসরা সাজিয়ে চুটিয়ে ব্যবসা করছেন প্রিয়াঙ্কা গুপ্তার দোকানের ক্যাচলাইন— ‘পিনাহি পড়েগা।’ অর্থনীতির স্নাতক প্রিয়াঙ্কা, তিন বছর আগে কলেজের গণ্ডি পেরলেও মেলেনি সরকারি চাকরি। সেই অপেক্ষায় বসেও থাকেননি তরুণী। কিছু করে দেখানোর অদম্য জেদ বার বার নাড়া দিত তাঁকে।
চায়ের দোকান দিয়ে অর্থ উপার্জনের পাশাপাশি নিজেকে উদাহরণ হিসেবেও তুলে ধরতে চেয়েছেন তিনি। যাতে তিনি অন্যদের অনুপ্রেরণা হতে দোকানের ব্যানারেও ছকভাঙা প্রত্যাশার পংক্তি। ‘লোকে কী ভাববে আমরাই যদি সে কথা ভাবি, তাহলে তাঁরা তো কত কিছু ভাববে’। প্রিয়াঙ্কা বোঝাতে চেয়েছেন, লোকের কথায় কান না দিয়ে নিজের পরিকল্পনা মতো এগিয়ে চলা উচিত। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়াঙ্কার কথা জেনে অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তরুণীকে।
স্বয়ং প্রিয়াঙ্কা কী বলছেন? ২০১৯ সালে গ্র্যাজুয়েশন করি, দু’বছর ধরে চাকরি খুঁজেও পাইনি। ইউটিউবে প্রফুল্ল বিলোরের ভিডিও থেকে অনুপ্রেরণা পাই। তারপরই চায়ের দোকান খোলার ব্যাপারে মনোস্থির করেন প্রিয়াঙ্কা। প্রফুল্ল বিলোরই হলেন ‘এমবিএ চাওয়ালা’র কর্ণধার। মধ্যপ্রদেশের এক কৃষক পরিবারের ছেলে। যিনি ‘এমবিএ চাওয়ালা’ নামে চায়ের দোকান খুলে আজ কোটিপতি।
দেশে এমবিএ চাওয়ালার ২২টি আউটলেট রয়েছে। ২০১৭-১৮ সালে ব্যবসা শুরুর পর শূন্য থেকে শিখরে ওঠার গল্প মন কেড়েছে আমআদমির৷ আইআইএম আমেদাবাদে চান্স না পেয়ে আমেদাবদেই শুরু করেন চায়ের দোকান। ক্রমশ তা জনপ্রিয়তা অর্জন করে। দোকানের ‘এমবিএ’ নামের কারণ খুঁজতে শুরু করেন অনেকেই৷ প্রফুল্ল জানিয়েছিলেন, এমবিএ অর্থাৎ মিস্টার বিলোর আমেদাবাদ।
প্রফুল্ল বিলোরের সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়েছেন এক বাঙালি মেয়েও। টুকটুকি দাস। গত বছর উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া স্টেশনের বাইরে চায়ের দোকান শুরু করেন তিনি। নাম দেন ‘এমএ ইংলিশ চাওয়ালি’। কৈপুকুরের বাসিন্দা বছর ২৬-এর যুবতী হাবড়া শ্রীচৈতন্য কলেজ থেকে ইংরেজিতে স্নাতক হওয়ার পর ইংরেজিতে এমএ করেন। তাঁর লড়াইও উঠে এসেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp