নিউজবাংলা ডেস্ক : ইয়স ঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকুল তীরবর্তী এলাকা। জলের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বহু বাঁধ। এর মধ্যে অনেক বাঁধ নতুন করে নির্মাণ হয়েছে দু-তিন বছরের মধ্যে। তারপরেও এত তাড়াতাড়ি বাঁধগুলি ভেঙে পড়ার ঘটনায় উষ্মা প্রকাস করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ইয়স পরবর্তী পূর্ব মেদনীপুর জেলা সফরে এসে বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
এরই মাঝে একের পর এক অভিযোগ গিয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে। এই অভিযোগগুলির মধ্যে ৩টি বাঁধ নির্মাণে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে এসেছে বলে জানা গেছে। এই বাঁধগুলির টেন্ডার থেকে শুরু করে নির্মাণ প্রক্রিয়া সবটাই খতিয়ে দেখতে এবার তদন্ত শুরু করতে চলেছে দুর্নীতি দমন শাখা।
তদন্তকারীরা এই বাঁধ নির্মাণের খুঁটিনাটি তথ্য খতিয়ে দেখার পাশাপাশি গোটা পরিস্থিতি তদন্ত করে দেখবেন। এরপর তাঁরা রিপোর্ট জমা করবেন নবান্নে। প্রসঙ্গতঃ ইয়স ঝড়ে দিঘা সহ পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ সমূদ্র তীরবর্তী এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পেয়েই ছুটে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওল্ড দিঘা থেকে নিউ দিঘা এবং শংকরপুর, তাজপুর, মন্দারমণি প্রভৃতি পর্যটন কেন্দ্রের কংক্রিটের বাঁধানো চাতালের দুর্গতি দেখে প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হন।
দিঘা সহ আশেপাশের পর্যটন এলাকার সমূদ্র তট কংক্রিটের বানানোর দায়িত্বে ছিল দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের মাধ্যমে বাঁধ নির্মাণ হলেও এত কম সময়ে সমূদ্র বাঁধগুলির এমন দূরবস্থা কেন? এর পেছনে কোনও দুর্নীতি রয়েছে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে যে সময় দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদ বাঁধ নির্মাণ করেছিল সেই সময় পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। এবং রাজ্যের সেচ মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন নন্দীগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। এবার বাঁধ নির্মাণে দুর্নীতির তদন্তের মাধ্যমে অধিকারী পরিবার চাপে পড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।