নিউজবাংলা ডেস্ক : একটি ফ্ল্যাটের ভেতর আচমকাই বিস্ফোরণের শব্দে চমকে উঠেছিল প্রতিবেশীরা। কৌতুহল বশতঃ ওই ফ্ল্যাটের দরজার সামনে আসতেই চমকে ওঠেন সবাই। দেখা যায় ফ্ল্যাটের দরজা থেকে চুইয়ে পড়ছে রক্তের ধারা। এরপরেই পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। ঘটনাস্থল বিহারের সিকন্দরপুর।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকতেই প্রকাশ্যে আসে রীতিমতো বিভীষিকার চেহারা। দেখা যায় গোটা ঘরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে হাড়, মাংসের টুকরো। সেই সঙ্গে ছড়িয়ে রয়েছে রক্ত। এরপরেই ঘটনার তদন্তে নেমে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, এটি আসলে এক ব্যক্তির দেহাবশেষ।মৃত ব্যক্তির নাম রাকেশ (৩০)। তাঁর দাদা দীনেশ সাহানীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে হাড়হিম করা তথ্য। পুলিশের অনুমান, রাকেশকে খুনের পর দেহ টুকরো টুকরো করে একটি বিশেষ কেমিক্যালে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিল।
সেই কেমিক্যালের ট্যাঙ্কে বিস্ফোরণ ঘটতেই ঘটনা প্রকাশ্যে চলে আসে। ইতিমধ্যে পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে রাকেশের সহযোগী সুভাষ, স্ত্রী রাধা, রাধার বোন ও তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে। বিহারে মদ বিক্রী নিষিদ্ধ হলেও রাকেশ সেই অবৈধ মদ কারবারেই যুক্ত। এই কারনেই তাঁকে প্রায়শই পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে আত্মগোপন করে থাকতে হত।
সেই সুযোগেই রাকেশের সহযোগী সুভাষের সঙ্গে রাধার অবৈধ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু ক্রমেই পথের কাঁটা হয়ে উঠেছিল রাকেশ। তাই তাঁকে পথ থেকে সরিয়ে দিতেই খুন করার পর দেহ কেমিক্যালে ডুবিয়ে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের।