নিউজবাংলা ডেস্ক : কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ে তড়িঘড়ি বদল করে দেওয়া হল স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান। আগের চেয়ারম্যান শুভঙ্কর সরকারকে সরিয়ে তার স্থলাভিষিক্ত হচ্ছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। আজ বুধবার থেকে দায়িত্বভার নেবেন তিনি। সিটি কলেজের অর্থনীতির অধাপক সিদ্ধার্থবাবু জানালেন, তিনি স্বচ্ছতা বজায় রেখেই কাজ করার চেষ্টা চালাবেন। তবে চাকরী প্রার্থীদের দুর্দ্দশা কি আদৌ কাটবে, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরেফিরে আসছে রাজ্যের লক্ষাধিক বেকার যুবক যুবতীদের মনে।
চাকরী প্রাথী লক্ষাধিক যুবক যুবতীদের মনে বিপুল প্রত্যাশা জাগিয়ে ২০১১ সালে রাজ্যের ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। সবাই আশা করেছিলেন, রাজ্যের হাজার হাজার স্কুলের শূন্যপদে নিয়োগ হবে নিয়ম মেনেই। যোগ্যতাই হবে নিয়োগের মাপকাঁঠি। তবে সেই স্বপ্ন যে অধরা তা হাড়ে হাড়ে বুঝেছেন বেকার যুবক যুবতীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বারে বারে স্কুল সার্ভিসের নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে একাধিক মামলা এবং তার ভিত্তিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ বুঝিয়ে দিচ্ছে কোথাও না কোথাও স্বচ্ছ্বতার বড় অভাব নজরে আসছে।
স্কুল সার্ভিস কমিশনের সদ্য প্রাক্তন সভাপতির নেতৃত্বাধীন কমিশনকে আদালত যেভাবে ভর্ৎসনা করেছে তা সাম্প্রতিক ইতিহাসে নজিরবিহীন। রাজ্য সরকার কিন্তু কমিশনের এহেন কর্মকান্ড থেকে দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে না। লিস্টের পেছনে থাকা প্রার্থী ইন্টারভিউতে ডাক পেলেন অথচ সামনের সারিতে থাকা প্রার্থীকে ডাকা হল না। কিন্তু কেন? কলকাতা হাইকোর্ট ইতিমধ্যে বুঝিয়ে দিয়েছে SSC কমিশনের দেওয়া যুক্তি “ওই প্রার্থীকে মোবাইলে ম্যাসেজ করে ইন্টারভিউতে ডাকা হয়েছিল, কিন্তু উনি আসেননি” খারিজ করে দিয়েছে। এভাবে কোনও কমিশন দায় ঝেড়ে ফেলতে পারে কি? প্রশ্ন উঠছে সেখানেই।
এখন আদালত SSC চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতেই নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য সরকার। এতদিন কি কমিশনের কাজকর্ম রাজ্য সরকারের নজরে আসেনি। ইতিমধ্যে রাজ্য জুড়ে চাকরী প্রার্থীদের মধ্যে যখন হাহাকার চলছে তখন সেই আন্দোলনকে দমিয়ে দিতেই বেশী তৎপরতা দেখা যায় প্রশাসনকে। তবে এবার SSC কমিশনার বদল করার পর রাজ্যের ভাবনা চিন্তাতেও বদল আসুক, প্রতি বছর পরীক্ষা হোক, যোগ্যতামান দেখে ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে চাকরী দেওয়া হোক, মনেপ্রাণে চাইছেন চাকরীপ্রার্থীরা।