নিউজ বাংলা, বোলপুর : পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকাবাসীরা। আর এই রাগের বহিঃপ্রকাশ ঘটল সোমবার সকালে। এদিন ট্রাক্টরে চেপে হাজারে হাজারে মানুষ জড়ো হয় পৌষ মেলার মাঠে। এরপর রীতিমতো জেসিবি মেশিন দিয়েই ভেঙে ফেলা হয় পাঁচিল, গেট, অস্থায়ী অফিস।
এই তান্ডবের ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। দুপুর নাগাদ তাঁর ট্যুইট, শিক্ষার মন্দির আজ আক্রান্ত। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবী উদ্ধৃত করে তাঁর মন্তব্য, সেখানকার সম্পত্তি ব্যাপক ভাবে নষ্ট করা হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার সময় জেলাশাসক, পুলিশ সুপার সহ কেউই বিশ্বভারতীর ডাকে সাড়া দিয়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়নি বলেও অভিযোগ তাঁর।
এর কিছু পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন বলে নিজেই আবার ট্যুইট করে জানান রাজ্যপাল। বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসের ল’এন্ড অর্ডার নিয়ে তাঁদের কথা হয়েছে বলেও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার আশ্বাস দিয়েছেন বলেও রাজ্যপাল জানিয়েছেন।
Just had word with Chief Minister over Visva Bharati worsening law and order scenario. She has assured that administration @MamataOfficial will take all steps to restore law and order. Am sure those enjoined with task will rise to the occasion.
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) August 17, 2020
প্রসঙ্গতঃ বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তপ্ত বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা। বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন পৌষ মেলার মাঠ ঘিরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েই পাঁচিল তোলার কাজ চলছিল। শনিবারেই সেই কাজে বাধা দেয় স্থানীয় মানুষজন সহ শান্তিনিকেতন বাজার সমিতির ব্যবসায়ীরা। বাধা দেয় বোলপুর ব্যবসায়ী সমিতিও।
সেই থেকে বিবাদের সূত্রপাত। শনিবার কয়েক দফায় বিবাদ এবং ঠিকাদারদের কাজ করতে বাধা দেয় ব্যবসায়ী সমিতি সহ স্থানীয়রা। তাদের দাবী, দীর্ঘদিন ধরে এই প্রশস্ত মাঠ খোলা থেকেছে। বহু পর্যটক এখানে আসেন, মেলা হয়, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। সেখানে কোনোরূপ আলোচনা না করে এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক বলেই দাবী এলাকাবাসীর।
যদিও এ বিষয়ে কর্ণপাত করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়রা জানান, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের তৈরী এই শান্তিনিকেতন প্রাঙ্গন সবার জন্য খোলা। এই প্রাঙ্গনে সবাই শরীরর্চচা করেন, খেলাধুলা করেন। যদিও গোপন সূত্রে খবর, এই চত্ত্বরে সুবিশাল মাঠে রাতের অন্ধকারে চলে অশালীন কাজকর্ম সেই বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়েই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
এরপর রেজিস্টারের নির্দেশে গত রবিবার সকালে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে মিছিল করে তিনশো অধ্যাপক এবং কর্মী মেলার মাঠে হাজির হন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় নিরাপত্তারক্ষীদের দ্বারা ঘিরে ফেলা হয় চারিদিক। শান্তিনিকেতন থানার সামনের রাস্তায় চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। এরপর বিদ্যাভবন অঙ্গন থেকে মেলার মাঠে পাঁচিল দেওয়ার জন্য জেসিবি দিয়ে গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়।
#newzbangla #BengaliNews #ViswabharatiCampus #India #নিউজবাংলা #Newsbangla #BengalUpdate #PousMelaGround