নিউজবাংলা, কলকাতা : করোনাকালে আর্থিক সঙ্কটে পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন, আর্থিকভাবে পিছিয়ে যাঁরা। কিন্তু তাঁরা যে ঋণ নিয়েছেন, তা পরিশোধের হার এই পরিস্থিতিতেও যথেষ্ট ভালো। ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলির দেওয়া তথ্য এমনটাই বলছে।
যে সংস্থাগুলি সাধারণ মানুষকে ক্ষুদ্র ঋণ দেয়, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অনুমোদিত তাদের স্বশাসিত সংগঠন ‘সা-ধন’-এর হিসেব, দেশে ঋণ পরিশোধের হার ৯৫ থেকে ৯৯ শতাংশ। পাশাপাশি এই সংগঠন জানিয়েছে, গত আর্থিক বছরে ঋণ নেওয়ার হারও বেড়েছে। সার্বিকভাবে পাঁচ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে ঋণের পরিমাণ। শুধু শেষ তিন মাসে, অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বৃদ্ধির হার ১৩ শতাংশ।
তথ্য বলছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ক্ষুদ্র ঋণের অঙ্ক ছিল ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৫৯৮ কোটি টাকা। এর সিংহভাগ ঋণ এসেছে ব্যাঙ্ক থেকে। সেখানে মিলেছে ১ লক্ষ ২ হাজার ৫২৭ কোটি টাকার ঋণ। যদিও ২০২০-২১ সালের সঙ্গে তুলনা করলে ব্যাঙ্ক থেকে প্রাপ্ত ঋণের অঙ্ক সাত শতাংশ কমেছে বলে জানা গিয়েছে।
৩১ মার্চের হিসেব অনুযায়ী ব্যাঙ্ক থেকে নেওয়া মাথা পিছু ঋণের অঙ্ক ৩৯ হাজার ৫৩৪ টাকা। মাথা পিছু ৪৫ হাজার টাকার উপর ঋণ দিয়েছে স্মল ফিনান্স ব্যাঙ্ক এবং ব্যাঙ্ক নয়, এমন আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলি। শিল্পমহলের দাবি, কঠিন আর্থিক পরিস্থিতির মধ্যেও ঋণ নেওয়ার পরিমাণ বেড়ে যাওয়া এবং তা সময়ে শোধ করার প্রবণতা সামগ্রিক অর্থনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত ভালো লক্ষণ।
তবে গোটা দেশে সব রাজ্যের বাসিন্দারাই যে সমানভাবে পরিশোধে এগিয়ে এসেছেন, তা নয়। এই ব্যাপারে সবচেয়ে পিছিয়ে আছে অসম। সেখানে ঋণ পরিশোধের হার ৬০ থেকে ৬৫ শতাংশ। এর ফলে সেখানে সঙ্কটে পড়েছে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী ছোট সংস্থাগুলি। তারা মারাত্মকভাবে মূলধনজনিত সমস্যায় পড়েছে।