Thursday, April 25, 2024
HomeKolkataমমতার সভা পশ্চিমে, নজর থাকছে পূর্বে !

মমতার সভা পশ্চিমে, নজর থাকছে পূর্বে !

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img
- Advertisement -

 

কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : আজ দুপুর নাগাদ পশ্চিম মেদিনীপুরে জনসভা করতে চলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত রাতে তিনি মেদিনীপুরে পৌঁছেও গিয়েছেন। তবে সবার নজর এই মুহূর্তে আটকে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের দিকে। মমতার ডাকে সাড়া দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের তৃণমূলের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদ সহ প্রথম সারির তৃণমূল নেতৃত্বদের পশ্চিম মেদিনীপুরে যাওয়ার আমন্ত্রণ থাকলেও কোন কোন নেতা মমতার সভায় যাচ্ছেন সেই দিকেই নজর থাকছে সবার।

প্রসঙ্গতঃ এই জেলার দুই লোকসভা কেন্দ্র তমলুক ও কাঁথির সাংসদ যথাক্রমে দিব্যেন্দু অধিকারী ও তাঁর বাবা শিশির অধিকারী। কাঁথির অধিকারী পরিবারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কণিষ্ক পন্ডা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, এঁদের কেউই আজকের মমতার সভায় যাচ্ছেন না। শিশিরবাবুর পায়ে ইনফেকশান থাকায় সেখানে অপারেশান হয়েছে এবং দিব্যেন্দু যাচ্ছেন দিল্লী। শুভেন্দু বাবুও যে যাবেন না তাও তিনি হলফ করেই জানিয়েছেন।

অন্যদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃনমূলের কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি জানিয়েছেন, দলনেত্রীর নির্দেশ মতো আজ জেলার সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের মেদিনীপুরের সভায় হাজির হতে বলা হয়েছে। দলের সভাপতি শিশির অধিকারীর নেতৃত্বে সবাইকে এই বিষয়ে ওয়াকিবহাল করে দেওয়া হয়েছে। তবে কারা কারা যাবেন সেটা তাঁদের সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত ব্যাপার বলেই দাবী অখিলের।

অখিলবাবু জানিয়েছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হলদিয়া, তমলুক ও পূর্ব পাঁশকুড়া রয়েছে বামেদের দখলে। বাকি ১৩টির মধ্যে এগরার বিধায়ক সমরেশ দাশ প্রয়াত। নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দুকে বাদ রেখে তাই বাকি ১১ জন বিধায়কের আজ মেদিনীপুরে হাজির থাকার কথা রয়েছে।

এঁরা হলেন, মহিষাদলের বিধায়ক সুদর্শন ঘোষ দস্তিদার, নন্দকুমারের বিধায়ক সুকুমার দে, পশ্চিম পাঁশকুড়ার বিধায়ক ফিরোজা বিবি, ময়নার বিধায়ক সংগ্রাম দোলুই, চন্ডীপুরের বিধায়ক অমিয় ভট্টাচার্য, ভগবানপুরের বিধায়ক অর্ধেন্দু মাইতি, পটাশপুরের বিধায়ক জ্যোতির্ময় কর, খেজুরির বিধায়ক রণজিৎ মন্ডল, উত্তর কাঁথির বিধায়ক বনশ্রী মাইতি, দক্ষিণ কাঁথির বিধায়ক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, রামনগরের বিধায়ক অখিল গিরি।

সূত্রের খবর, গত কয়েকমাসে যেভাবে দাদার অনুগামীদের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছিল সেই তালিকা এখন অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে। যারা তৃণমূলের পদে থেকেও দাদার শিবিরে ঝুঁকেছিলেন এমন অনেক নেতাকেই দল থেকে ইতিমধ্যে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়েছে। এরপর প্রকাশ্যে কেউই আর দাদার শিবিরে ভিড়তে চাইছেন না।

 

- Advertisement -
spot_imgspot_img
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments