নিউজবাংলা ডেস্ক : এবার মুখ্যমন্ত্রীদের বাদ রেখেই সরাসরি জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ২০ মে বেলা ১১টা নাগাদ এই বৈঠক শুরু হচ্ছে। যেখানে এই রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাশাপাশি ৯টি জেলার জেলা শাসক সহ কোভিড মোকাবিলায় যে সমস্ত আধিকারীকরা যুক্ত তাঁদেরও থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে এই সম্পর্কিত চিঠি প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর।
বাংলার পাশাপাশি মোট ১০টি রাজ্যের নাম রয়েছে এই তালিকায়। সেগুলি হল হরিয়ানা, ছত্তীসগঢ়, মহারাষ্ট্র, কেরল, ঝাড়খণ্ড, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা, পুদুচেরি ও রাজস্থান। তবে এই বৈঠক নিয়েই শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক বিতর্ক।
তৃণমূলের দাবী, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় প্রধানমন্ত্রী যেমন দেশের প্রধান তেমনই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের প্রধান। একটি রাজ্যের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই হিসেবে রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি ঠিক কি তার সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন করোনা মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সেখানে মাত্র কয়েকটি জেলার জেলা শাসকদের নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না।
তৃণমূলের পাশাপাশি এই রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বও বিষয়টিকে মেনে নিতে পারেনি। বাম নেতৃত্বদের মতে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর হাতে অনেক ক্ষমতা। সেই ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাইরে গিয়ে তিনি যদি এভাবে বৈঠক করেন তাহলে গোটা দেশের ভ্যাকসিনের সমস্যা সহ কোভিড পরিস্থিতির দায় তাঁকেই নিতে হবে।
যদিও বিজেপির তরফে দাবী, ‘বিপর্যয়ের সময়ে প্রধানমন্ত্রী একেবারে নিচু তলা থেকে মোকাবিলা করতে চাইছেন। তৃণমূল স্তরের অবস্থা বুঝতে চাইছেন। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর কথা বলে এই বিশেষ পরিস্থিতিতে এমন উদ্যোগের ব্যাপারে প্রশ্ন তোলা অর্থহীন।
প্রসঙ্গতঃ এর আগে রাজীব গান্ধীও একবার এভাবেই জেলা শাসকদের বৈঠক ডেকে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার একাধিকবার সরাসরি জেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। প্রশাসনিক সমস্যা হল, জেলা শাসকরা তাহলে কার কথা শুনবেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর নাকি প্রধানমন্ত্রীর সেই প্রশ্নও ঘুরছে প্রশাসনের অন্দরে। এই নিয়ে চূড়ান্ত প্রশাসনিক জটিলতা তৈরি হতে পারে বলেই মত তথ্যভিজ্ঞ মহলের।
তথ্যসূত্র-আনন্দবাজার ডিজিটাল