নিউজবাংলা ডেস্ক, পূর্ব মেদিনীপুর : “আমাকে ঠেলে বিজেপিতে পাঠানো হল। ছেলে শুভেন্দু অধিকারী যা ঠিক করবেন তাই করব। তবে মন খারাপ নেই আমার, এবার যুদ্ধ করব”। বক্তা শিশির অধিকারী। রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে অধিকারী কর্তা জানিয়ে দিলেন, অমিত শাহের সভা হবে, ওখানে আমি যাব।
তবে এখনও কন্টাই লোকসভার তৃণমূলের সাংসদ পদে রয়েছেন শিশির অধিকারী। সেজ ছেলে দিব্যেন্দু এখনও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ। বিজেপিতে যোগ দিয়ে বাড়ির মেজ ছেলে শুভেন্দু বারেবারে মন্তব্য করেছেন, “আমার বাড়িতেও শীঘ্রই পদ্ম ফুটবে”।
এদিন সেই কথার রেশ ধরে সাংবাদিকরা শিশিরবাবু প্রশ্ন করেন, আপনার বাড়িতে কবে পদ্ম ফুটবে? উত্তরে শিশিরবাবু জানান, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করলে জানতে পারবেন, কবে এই বাড়িতে পদ্ম ফুল ফুটবে”। তবে তিনি যে আর তৃণমূল নেত্রীকে পরোয়া করেন না তারও উল্লেখ করতে ভোলেননি বর্ষীয়ান এই নেতা।
সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, আপনি কি কাউকে জানালেন তৃণমূলের, যে আপনি বিজেপির সভায় যাচ্ছেন? অকপটে শিশিরবাবুর উক্তি, “কাকে জানাব আমি। যেখানে যা আছে করব। আমি যা পারে করব, ওরা যা পারে করুক”।
নন্দীগ্রামে কি হবে, এই প্রশ্নের উত্তরে শিশিরবাবুর জবাব, “নন্দীগ্রামে শুভেন্দু জিতবে। ১ লক্ষ ভোটে শুভেন্দু জিতবে। সেই সঙ্গে গোটা পূর্ব মেদিনীপুর থেকে তৃণমূল সাফ হয়ে যাবে” বলেও দাবী তাঁর। এদিন শিশিরবাবু জানান, “জোর করে তৃণমূল থেকে সরানো হয়েছে। আমরা ফুটপাতের লোক, সংগ্রামের লোক। মেদিনীপুরের ইজ্জত বাঁচানোর লড়াই করব”, জানালেন অধিকারী কর্তা।
তাঁর আরও দাবী, “আমাকে জোর করে তৃণমূল থেকে সরানো হয়েছে। বাঁচতে হবে, রাজনীতি তো করতে হবে। মন খারাপ নেই, আবার যুদ্ধ করব” জানিয়েছেন তিনি।
তবে শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে পাল্টা তোপ দেগেছে তৃণমূল নেতৃত্বও। তৃণমূলের মুখপাত্র কুনাল ঘোষের দাবী, উনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন দিন, তবে এত নাটক করছেন কেন? তাঁর দাবী, শুভেন্দু বিজেপিতে গিয়েছে সিবিআই, ইডি’র ভয়ে। যারা পরিবারতন্ত্রের মন্তব্য করে সেই অধিকারী পরিবারেই দুই সাংসদ, এক পুরসভার চেয়ারম্যান, একাধিক দফতরের মন্ত্রী, বিধায়ক, একাধিক উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান। এঁদের মুখে পরিবারতন্ত্র মানায় না বলেই দাবী কুনাল ঘোষের।