নিউজবাংলা ডেস্ক : একদিকে করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে রুজি রোজগারে ব্যাপক টান পড়েছে সাধারণের। তারই মাঝে চুপিসাড়ে বেড়ে চলেছে ওষুধের দাম। সূত্রেী খবর, গত ৯০ দিনের ব্যাবধানে বহু নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম একলাফে বেড়েছে ২৫% থেকে ৩০% পর্যন্ত। যার মধ্যে রয়েছে হার্ট, ফুসফুস, ডায়াবেটিস, প্রেসারের মতো অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ওষুধের। বাদ যায়নি ভিটামিন থেকে সর্দি কাশীর ওষুধও।
ব্যবসায়ীদের সূত্রে খবর, এমন কোনও ওষুধ নেই বাজারে যার দাম সাম্প্রতিক কালে কমেছে। কিভাবে বেড়েছে ওষুধের খরচ সে প্রসঙ্গে এক ব্যাবসায়ী জানালেন, যে ব্যক্তির ওষুধ বাবদ মাসে ৫০০টাকা খরচ হত তা এখন বেড়ে হয়েছে ৮০০ থেকে ৮৫০ টাকা। কিন্তু কেন আচমকা এমন উর্ধমুখী হয়ে গেল ওষুধের দাম তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়েই নীরব।
একদিকে করোনা কালে যখন বহু মানুষ তাঁদের কর্মসংস্থান হারিযেছেন, অনেকেরই বেতন কমেছে পাল্লা দিয়ে সেখানে বাজার নিয়ন্ত্রনের জন্য ন্যুনতম পদক্ষেপ করেনি সরকারপক্ষ। নিত্য প্রয়োজনীয় ভোজ্য তেল, ডাল, মশলার পর সবজির বাজারেও রীতিমতো আগুন। এবার তার সঙ্গে যোগ হল ওষুধের দাম।
ওষুধ ব্যবসায়ীদের মতে, করোনাকালে বিপুল হারে বেড়েছে অন্যান্য ওষুধর চাহিদা। সামান্য জ্বর, সর্দি, কাশি হলেই আতংকিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। করোনার চিকিৎসাতেও দীর্ঘকালীন মেয়াদে ওষুধ সেবন করতে হচ্ছে লক্ষাধিক মানুষকে। এত বিপুল চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে গিয়ে যোগানে টান পড়ছে। সেই সঙ্গে ওষুধ তৈরীর কাঁচামালের দামও বাড়ছে যথেচ্ছ হারে। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের ওপরেই বাড়তি খরচের বোঝা যে আসবে সে বিষয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ থাকছে না।