নন্দন বেরা, এগরা : বুধবার গভীর রাতে ভয়াবহ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেল ১০টি বাড়ি। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ৭নং ওয়ার্ডে এগরা-খড়্গপুর সড়ক নবরূপ রোড সংলগ্ন এলাকায়। খবর পেয়ে এগরার ডোমপুকুর থেকে দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে এলেও ততক্ষণে পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে বাড়িগুলি। এই ঘটনার জেরে ৩৫টি পরিবার পথে বসেছে বলে স্থানীয়দের দাবী।
অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য গীতাঞ্জলী হাতি জানিয়েছেন, গতকাল গভীর রাতে প্রায় আড়াইটে নাগাদ গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম সকলেই। হঠাৎ করে গায়ে আগুনের আঁচ লাগে। তখনই চিৎকার চেঁচামেচি করে তড়িঘড়ি সবাই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি। চোখের সামনে সবকিছু ধূলিস্মাৎ হয়ে গেছে। বাচ্চাদের বই পত্র, টাকা, খাওয়ার, আসবাবপত্র কিছুই অবশিষ্ট নেই।
আর এক ক্ষতিগ্রস্ত বিশ্বনাথ ধাড়া জানিয়েছেন, সবকিছু খুইয়ে ফেলেছেন তাঁরা। পোশাক থেকে খাওয়াদাওয়া কিছুই অবশিষ্ট নেই। সমস্ত পরিবারগুলি রাতারাতি পথে এসে বসেছে। এই পরিস্থিতিতে কড়া ঠান্ডায় কিভাবে তাঁরা পরিবার নিয়ে কাটাবেন, কোথায় থাকবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন।
স্থানীয় সমাজসেবী জয়ন্ত সাউ জানিয়েছেন, রাত্রি প্রায় ৩.১৫টা নাগাদ ভয়াবহ আগুনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন তাঁরা। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয়েছিল দমকলকে। প্রায় ২ কিমি দূর থেকে দমকলের ২টি ইঞ্জিন দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। কিন্তু তারা এসে যখন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ততক্ষণে বাড়িগুলি পুরোপুরি আগুনের গ্রাসে চলে গিয়েছিল।
দমকলের প্রায় দেড়ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ততক্ষণে সবকিছুই ভস্মীভুত হয়ে গিয়েছে। কারও কিছুই অবশিষ্ট নেই। আগুনের গ্রাসে সবকিছুই ছাই হয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আপাতত অসহায় মানুষগুলোকে স্থানীয় একটি ক্লাবঘর এবং পাশের ৮নং ওয়ার্ডের একটি প্রাইমারী স্কুলে অস্থায়ী ভাবে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সেই সঙ্গে পরিবারগুলিকে যাতে দু’বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা করা যায় এবং পোশাক ও অন্য সামগ্রী দ্রুত জোগান দেওয়া যায় তার চেষ্টা চলছে। বিষয়টি প্রশাসনের সব স্তরে জানানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।