নিউজবাংলা ডেস্ক : চরম আর্থিক সঙ্কটে জেরবার শ্রীলঙ্কায় বিক্ষোভ থামছেই না। মঙ্গলবারও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমপ্রান্তে পুলিসের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন একজন, জখম ১২। এরই মধ্যে আর্থিক সঙ্কটের দায় নিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসে। বললেন, তাঁর ভুল হয়েছে। তবে এখন সেই ভুল সংশোধন করে দেশবাসীর আস্থা অর্জনের কথাও বলেন তিনি।
নবনিযুক্ত ১৭ মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে দায় স্বীকার করেছেন গোতাবায়া। বেহাল অর্থনৈতিক পরিস্থিতির জেরে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক অস্থিরতাও তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্কট কাটাতে মরিয়া প্রেসিডেন্ট ও তাঁর ক্ষমতাশালী পরিবার। গত কয়েকমাস ধরে খাদ্য, জ্বালানি, ওষুধের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর চরম অভাব।
এই পরিস্থিতিতে রাজাপাকসে বলেন, ‘গত আড়াই বছরে আমাদের সামনে প্রচুর সমস্যা ছিল। কোভিড মহামারীর সঙ্গে ছিল ঋণের বোঝা এবং আমাদের কিছু ভুল নীতির জন্য সমস্যা হয়েছে। সেই ত্রুটি শুধরে নিতে হবে।’ প্রসঙ্গতঃ কিছুদিন ধরেই বিদেশী মূদ্রার ভাঁড়ার খালি হয়ে যাওয়ায় চরম দুরবস্থার মুখে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশে জ্বালানীর তীব্র সংকটে জনজীবন চরম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যশস্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। আতংকিত মানুষজন খাদ্য সংকটের আশংকায় দোকানে দোকানে লম্বা লাইন লাগিয়েছে। তবে এসব নিয়ে বিশেষ বিচলিত ছিল না শ্রীলঙ্কার রাজাপকসের সরকার। বিপর্যস্ত জনগন পথে নেমে বিক্ষোভে সামিল হলে নড়েচড়ে বসে প্রসাসন। ইতিমধ্যে শ্রীলঙ্কার প্রতিবেশী দেশ হিসেবে সব থেকে বেশী এগিয়ে এসেছে ভারত। ভারতের তরফে সাধ্যমতো সাহায্য পাঠানো হয়েছে শ্রীলঙ্কায়। তবে এতদিনে বোধোদয় হয়েছে সেখানকার প্রেসিডেন্টের। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির জন্য তিনি অবশেষে দায় স্বীকার করলেন।