পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : এক সময় পটাশপুরে যার কথায় বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত, আজ তৃণমূলের সেই প্রাক্তন দাপুটে নেতা তাপস মাঝিকেই কিনা প্রকাশ্যে তাড়া করে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধেই। বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ পটাশপুর ১নং ব্লকের অফিসের বাইরে এমন ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। পরে তাপসকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ।
সূত্রের খবর, বাড়শঙ্কর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাপসবাবু এদিন ব্লক অফিস থেকে বের হতেই তাঁকে তাড়া করতে থাকেন উন্মত্ত লোকজন। ভয় পেয়ে তাপস ছুটে পালাতে গেলে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে ব্লক অফিসের কাছে আনা হয়। সেই সঙ্গে জোরাল আওয়াজ ওঠে চোর চোর চোরটা বলেও।
তাপস জানিয়েছেন, “এক সময় আমার হাত ধরেই বাম দুর্গ পটাশপুরে ফুটেছিল ঘাসফুল। এলাকার বেশীরভাগ প্রথমসারির তৃণমূল নেতাই আমার হাত ধরে এসেছে। তবে গত ২ বছর আমি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নই। তাও আমার ওপর হামলা হল”। প্রসঙ্গতঃ শুভেন্দু অধিকারীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এই নেতা এক সময় পটাশপুরের একমেবঅদ্বিতীয়ম হয় উঠেছিলেন। তবে শুভেন্দু দল বদল করতেই তাপসের ক্ষমতা চলে যায়।
তাপস জানিয়েছেন, “ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি পন্ডার লোকজনই আমাকে মারধর করেছে। কারণ, যারা আমাকে মারধর করছিল তাঁরা সকলেই বলছিল একে বেঁধে রাখ, পীষূষ পন্ডা এলে ফয়সালা হবে”। যদিও পীযুষ পন্ডার দাবী, “দলে থাকা কালীন আমফান সহ চাকরী দেওয়ার নামে বিপুল পরিমানে টাকা তুলেছে ওই নেতা। এছাড়াও তৃণমূলের পদে থেকেও ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে প্রচার করেছেন। এখন তাঁর সঙ্গে দলের কোনও যোগ নেই। এলাকার মানুষের ক্ষোভ আজ ওনার ওপর আছড়ে পড়েছিল। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই”।