নিউজবাংলা ডেস্ক : টাকার প্রয়োজন। কিন্তু, আ্যকাউন্টে তত টাকা আছে কি না, জানতেন না তিনি। তাই একটা মিনি স্টেটমেন্ট তুলেছিলেন। জানতে চেয়েছিলেন কত টাকা আছে অ্যাকাউন্টে। আঙুলের কড় গুনে কিছুটা এগিয়েছিলেন। কিন্তু, হিসেব কষতে পারেননি। ওই স্টেটমেন্ট দেখে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষেরও ভিমরি খাওয়ার জোগাড়।
আধিকারিকদের শিরদাঁড়া দিয়ে যেন ঠান্ডা স্রোত বয়ে গেল! তাঁরা হতদরিদ্র গ্রাহকের মুখের দিকে তাকালেন। আর তিনি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন, স্যর তোলার মতো টাকা আছে তো? আধিকারিকরা কার্যত তোতলাতে তোতলাতে বললেন, আপনার অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা! ব্যস, তারপরই ঘুম উবে গিয়েছে সেই গ্রাহকের।
অ্যাকাউন্টে টাকার পাহাড় জমলেও তা বিন্দুমাত্র আনন্দ দিতে পারেনি তাঁকে। বরং কোথা থেকে তাঁর অ্যাকাউন্টে এত টাকা এল, তা ভেবে কার্যত ঘেমেনেয়ে অস্থির তিনি। হাবড়ার পরিযায়ী শ্রমিক এই সুদীপ্ত হাজরার দিন এনে দিন খাওয়ার সংসার। পুলিসের কাছেও খবর পৌঁছেছে। তাঁকে পাশবই আপডেট করিয়ে থানায় যেতে বলা হয়েছে।
সুদীপ্তবাবু ভয়ে ভয়ে রয়েছেন। তাঁর আকুতি, আমার অ্যাকাউন্ট যেন আগের অবস্থায় ফিরে পাই। জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাউগাছি নাংলাপাড়া এলাকায় বাড়ি সুদীপ্তবাবুর। তিনি আদতে পরিযায়ী শ্রমিক। মায়ের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়িতে ফিরে এসেছেন। বাড়িতে টাকার দরকার।
তিনি গত রবিবার গিয়েছিলেন স্থানীয় একটি সিএসপি গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে। সেখানে গিয়ে তিনি একটি মিনি স্টেটমেন্ট তোলেন। সেই মিনি স্টেটমেন্ট অনুযায়ী, তাঁর অ্যাকাউন্টে ব্যালান্স দেখায়, ২ হাজার ৯১১ কোটি ২১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা! ওই সিএসপি কাউন্টার থেকে তিনি দ্বিতীয়বার মিনি স্টেটমেন্ট তোলেন।