নিউজবাংলা (পূর্ব মেদিনীপুর) : “ও বলেছিল মা রান্না করো। এবার আর জ্বালাবে না। আমি ওর মাথা কেটে দিয়েছি। মাথা কেটে বেশ করেছি, আমার মেয়ে আমি কেটে দিয়েছি”। সাত সকালে বাড়ি থেকে ভরা বাজারে বেরিয়ে এসে এভাবেই চিৎকার জুড়ে দেয় মা।
যা শুনে শিউরে ওঠে এলাকাবাসীরা। বাজারে আসা লোকজন ছুটে ঘরে গিয়ে দেখে সত্যিই বাচ্চা মেয়েটির ধড় থেকে মাথা আলাদা হয়ে পড়ে রয়েছে বিছানায়। বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানার বিদ্যাপীঠ মোড় বাজারে। ঘাতক মায়ের নাম সাগরিকা পাত্র। স্বামী বিশ্বজিৎ পাত্র পেশায় মোবাইল মেকানিক।
খেজুরির বিদ্যাপীঠ বাজারে ভাড়া করা দোকানের পেছনেই বসবাস করত তারা। বছর ৯-এর মেয়েটি মানসিক প্রতিবন্ধী বলে দাবী এলাকাবাসীর। তাঁর মায়েরও মানসিক অসঙ্গতি রয়েছে। তবে কি কারনে বাচ্চাটিকে এভাবে খুন করল মহিলা তা পরিষ্কার নয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, আজ সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টা নাগাদ মহিলা চিৎকার করতে করতে বাড়ি থেকে বাজারে এসে জানায় আমি মেয়ের গলা কেটে দিয়েছি। ওরে মেরে দিয়েছি। এবার আমি অন্য জায়গায় চলে যাব। এই কথা শুনেই ওদের দোকানের সাটার খুলে সবাই ভেতরে গিয়ে দেখে মেয়েটির গলা কাটা দেহ বিছানায় পড়ে আছে।
এরপরেই শোরগোল পড়ে যায় গোটা এলাকায়। মহিলাকে আটকে রেখে খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপরেই দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে খেজুরি থানার পুলিশ। কি কারনে এমন নৃশংস কান্ড ঘটাল মহিলা তা এখনও পরিষ্কার নয়।
পুলিশ জানিয়েছে কি কারনে এই নৃশংস খুন তা পরিষ্কার নয়। ওই মহিলার কথাবার্তায় অসঙ্গতি রয়েছে। মৃতদেহটিকে ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি ঘাতক মহিলাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। গোটা ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে এলাকায়।