নিউজবাংলা ডেস্ক : ১০০ দিনের কাজে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ করল কেন্দ্র। এই প্রকল্পে কর্মীরা যেখানেই কাজ করুন না কেন, তাঁদের হাজিরা এবার থেকে শুধুমাত্র অ্যাপের (ন্যাশনাল মােবাইল মনিটরিং সিস্টেম অ্যাপ) মাধ্যমেই নিতে হবে। খাতায় লিখে আর হাজিরা হবে না। সােমবার থেকে এই নিয়ম চালু হয়েছে। প্রত্যেক রাজ্যকে চিঠি দিয়ে তা জানিয়েও দিয়েছে কেন্দ্র। সেই মতো কাজও শুরু হয়েছে ব্লক স্তরে।
২০২১ সালের ২১ মে থেকে এই অ্যাপের মাধ্যমে হাজিরা নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কর্মস্থলে আধিকারিকরা সংশ্লিষ্ট কর্মীর হাজিরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিচ্ছিলেন। কিন্তু এই প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে বহু রাজ্য নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করে। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন গ্রামীণ এলাকায় নেটওয়ার্কের সমস্যা থাকায় এই অ্যাপ কাজ করে না। এই অভিযােগের ভিত্তিতে কেন্দ্র বিষয়টিকে ‘ঐচ্ছিক’ বলে ঘোষণা করে।
এদিকে, এই প্রকল্পের কাজকর্ম নিয়ে নানা সময়ে অস্বচ্ছতার অস্বচ্ছতার অভিযােগ উঠছিল। তাই গত মার্চ মাসে এই অ্যাপ নিয়ে বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় গ্রামাোন্নয়ন মন্ত্রকে। সেখানেই ঠিক হয়, যে সব জায়গায় ২০ বা তার বেশি উপভােক্তা নিযুক্ত রয়েছেন, সেখানে এই অ্যাপের মাধ্যমেই হাজিরা নথিভুক্ত করতে হবে। যদি কোনও ক্ষেত্রে খুঁটিনাটি সমস্যা দেখা দেয়, তখন কিছু কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ ছাড় দেওয়া যেতে পারে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। একমাত্র সেসব ক্ষেত্রে হাতে লিখে হাজিরা নথিভুক্ত করা যাবে।
অ্যাপে হাজিরার বিষয়টি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই নাড়াচাড়া চলছিল রাজ্যে। অনেক জায়গায় এই অ্যাপেই হাজিরা নেওয়া হচ্ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ইতিমধ্যেই এই পদ্ধতিতে হাজিরা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। আধিকারিকরা বলেন, কর্মীদের হাজিরা নিয়ে নানা সময় অভিযোগ উঠছে। এমনকী, কম লোক কাজ করলেও হাজিরার খাতায় বেশি দেখিয়ে বাড়তি টাকা চাওয়ার মতো অভিযোগও জমা পড়েছে। এখন থেকে আর ওই ধরনের বেআইনি কাজ করা যাবে না। তবে রাজ্যের বহু প্রান্তে এখনও নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। সেখানে এই অ্যাপ কতটা কাজ করবে, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp