নন্দীগ্রাম : রহস্যময় স্পাই ক্যামেরা উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামের (Nandigram Spy Camera) সোনাচূড়া এলাকায়। ক্যামেরার সঙ্গে জোড়া রয়েছে বড়সড় একটি প্যারাসুট ও সার্কিট। কোন উদ্দেশ্যে প্যারাসুটে বেঁধে এই স্পাই ক্যামেরা পাঠানো হয়েছিল তা স্পষ্ট নয়। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়া পঞ্চায়েত এলাকায় ফাঁকা মাঠের মধ্যে উদ্ধার হল একটি রহস্যময় স্পাই ক্যামেরা, যার সঙ্গে লাগানো রয়েছে একটি প্যারাসুট। রাতের অন্ধকারে এই প্যারাসুট সহ ক্যামেরা মাঠের মধ্যে আছড়ে পড়েছে বলে স্থানীয়দের মত। ঘটনাটি নজরে আসতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া ক্যামেরা সহ অন্যান্য যন্ত্রাংশ উদ্ধরে করে স্থানীয় পঞ্চায়েতে প্রশাসনের হাতে রাখা হয়েছে। পরে পুলিশের হাতে এটি হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এদিন রহস্যময় বস্তুগুলি স্থানীয় গোল পাড়ায় মাঠের মধ্যে পড়ে থাকতে দেখা যায়। উৎসাহী গ্রামবাসীরা সেগুলি নিয়ে আসে সোনাচূড়া বাজারে। প্রচুর মানুষ এগুলি দেখতে ভীড় জমায়। পরে পঞ্চায়েতের উদ্যোগে উদ্ধার হওয়া বস্তুগুলিকে নিজেদের হেফাজতে নেয়। নন্দীগ্রাম থানায় বিষয়টি জানানো হয়েছে। পুলিশ এসে সেগুলি প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে স্থানীয় পঞ্চায়েতের সূত্রে জানানো হয়েছে।
সোনাচূড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান কালীকৃষ্ণ প্রধান জানান, “আজ সকালে এলাকাবাসীরা মাঠের মধ্যে প্যারাসুট, ক্যামেরা ও যন্ত্রাংশ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান পঞ্চায়েত সদস্য খোকন শিট। এমন প্যারাসুটে লাগানো ক্যামেরা উদ্ধারের ঘটনা এলাকায় কোনওদিনই দেখা যায়নি। তাই বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে সেটিকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে”।
এর আগে একটি দূর নিয়ন্ত্রিত রিমোর্ট চালিত হেলিকপ্টার উদ্ধার হয়েছিল মহিষাদলের আজড়া স্কুলের মাঠে। পরে জানা যায় দক্ষিণ ২৪ পরগণার বারুইপুর থেকে পরীক্ষামূলক ভাবে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় দুর্গত এলাকায় দ্রুত ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই কপ্টারটিই যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে মহিষাদলের আজড়ায় নামাতে বাধ্য হয়েছিল সংস্থাটি। তবে রহস্যময় প্যারাসুটে ক্যামেরা ও সার্কিট লাগিয়ে কোন কাজে লাগানো হয়েছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।