হলদিয়া : প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কোটি বিনিয়োগে দেশের সর্ববৃহৎ প্রপিলিন প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে আরও একধাপ এগোল পূর্ণেন্দু চ্যাটার্জী গোষ্ঠী পরিচালিত হলদিয়া (Haldia) পেট্রোকেমিক্যাল লিমিটেড। এর জন্য সুদূর গুজরাট থেকে হলদিয়ায় নিয়ে আসা হল দানবাকৃতির অক্সিডাইজার মেশিন। যা হলদিয়া বন্দর থেকে বিশেষ কৌশলে সফল ভাবে কারখানার ভেতর নিয়ে আসা হচ্ছে বলে এইচপিএল সূত্রে জানানো হয়েছে।
সংস্থা সূত্রে দাবী, অক্সিডাইজার মেশিনটি প্রতিস্থাপনের পর আগামী ২০২৬ সালের প্রথম অর্ধেই প্রপিলিন প্রকল্পটি পুরোদস্তুর চালু হয়ে যাবে। এরফলে হলদিয়া থেকে বছরে প্রায় ৩৪৫ কেটিপিএ ফেনল এবং ২১৫ কেটিপিএ অ্যাসিটোন উৎপাদন সম্ভব হবে যা দেশের ইতিহাসে নজির গড়বে বলেই হলদিয়া পেট্রোকেম সূত্রে দাবী জানানো হয়েছে। আর এই প্রকল্পটি পুরো দস্তুর চালু হয়ে গেলে হলদিয়া পেট্রোকেমে বিপুল পরিমানে কর্মসংস্থানের দরজা খুলে যাবে বলেই কারখানা সুত্রে দাবী।
অক্সিডাইজ মেশিনটি হল নিম্ন-চাপের চুল্লি যা ফেনল উৎপাদন প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হয়। এই মেশিনের সাহায্যে কিউমিনকে কিউমিন হাইড্রোপারঅক্সাইডে অক্সিডাইজ করা হয় একটি অভ্যন্তরীণ নিরাপদ ওয়েট-জারণ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এর ফলে তৈরি হবে উচ্চ-বিশুদ্ধতা সম্পন্ন ফেনল এবং অ্যাসিটোন। লুমাস টেকনোলজির তৈরি এই অক্সিডাইজার মেশিনগুলি মঙ্গলবার হলদিয়া বন্দরে আনা হয়েছে। যার প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৩২.৭৮ মিটার, প্রস্থ ৮.১৪ মিটার এবং উচ্চতা ৮.৪৫ মিটার এবং স্যাডেল সহ মোট ওজন ৩৪৬.৬ মেট্রিক টন।
কারখানা সুত্রে খবর, কঠিন চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে হলদিয়া বন্দর থেকে সড়কপথে এই বিশালাকায় অক্সিডাইজারগুলিকে পেট্রোকেমের ভেতর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এরজন্য দক্ষ এজেন্সিকে কাজে লাগানো হয়েছে। যারা বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে মেশিনগুলিকে অত্যন্ত ধীর গতিতে এগিয়ে নিয়ে চলেছে। এগুলি পেট্রোকেমে সফল ভাবে পৌঁছে যাওয়ার পর আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই মেশিন বসানোর কাজ শুরু হয়ে যাবে বলেই এইচপিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।