NewzBangla, Mahishadal : দিন কয়েক আগে রূপনারায়নের জোয়ারের তোড়ে ভেঙে গিয়েছে বিস্তীর্ণ নদীবাঁধ। প্রশাসনের তৎপরতায় কোনওক্রমে অস্থায়ী ভাবে বাঁধকে মেরামত করে রাখা হয়েছে। তবে এই বাঁধ কি আদৌ প্রতিহত করতে পারবে ‘দানা’র ভয়াবহ হামলা। পরিস্থিতি (Cyclone Dana) মোকাবিলায় প্রশাসনের তরফে এলাকাবাসীদের অপেক্ষাকৃত সুরক্ষিত স্থানে চলে যাওয়ার জন্য বারেবারে মাইক প্রচার চালানো হচ্ছে। এর জেরে আশংকার প্রহর গুনছেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু এলাকার বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পাঁশকুড়ায় যে সময় বন্যা হয় সেই সময় জলের তোড়ে মহিষাদলের অমৃতবেড়িয়ায় রূপনারায়ন নদীর পাড়ের বেশ খানিকটা ভেঙ্গে পড়ে। খবর পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বিধায়ক থেকে জেলা শাসক। পরে সেচ মন্ত্রী মানস ভূঁইয়াও এলাকা পরিদর্শনে আসেন। এরপরেই অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সেচ দপ্তর বাঁধটি অস্থায়ী ভাবে মেরামত করে। তবে সেই বাঁধের অবস্থা এখন অত্যন্ত খারাপ। ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাবে নদীর জল ফুলে উঠলে এই বাঁধ তা আদৌ ঠেকাতে পারবে কিনা এই নিয়েই সংশয়ে রয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।
ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার নন্দকুমার ব্লকের তরফে এই নদীবাঁধের আশেপাশের এলাকাবাসীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার জন্য বারেবারে মাইক প্রচার চালানো হচ্ছে। শুধু অমৃতবেড়িয়া নয়, রূপনারায়নের পাড়ে থাকা বাসিন্দাদের জন্যই এই সতর্কবার্তা জারি করা হচ্ছে। কোনও কারনে নদীর জল চরম বিপদসীমা অতিক্রম করলে বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি যাতে না হয় তারজন্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে এলাকাবাসীদের সরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে জানানো হচ্ছে।
মহিষাদলের রূপনারায়ণ নদীর পাড়ের ভয়াবহ পরিস্থিতি, দেখুন ভিডিওটি-
কিন্তু ঘুর্ণিঝড় দানার প্রভাবের কথা ভেবে চিন্তায় মহিষাদল ব্লকের অমৃতবাড়িয়া সহ আসেপাশে গ্রামের মানুষ। কারন দানার দূর্যোগের প্রভাবে আবার রুপনারায়ন নদীর পাড় ভেঙ্গে জল লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া সাথে বৃষ্টি। ফলে নদীর জল ক্রমশই ফুলে ফেঁপে উঠছে। যে কোনো মুহুর্তে বিপদ ঘটতে পারে। সেকথা ভেবেই চিন্তায় এলাকার মানুষজন।
মহিষাদল ব্লকের বিডিও বরুনাশীষ সরকার জানান,” ব্লক এলাকার দুর্বল নদী বাঁধ গুলির দিকে আমাদের নজর রয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় যে সমস্ত মানুষজন বসবাস করে থাকেন তাদের নিকটবর্তী নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। সেই সাথে প্রানীয় জল থেকে শুকনো খাওয়ার মজুত রাখার পাশাপাশি গৃহপালিত পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা জানানো হয়েছে। আমরা সদা সতর্ক রয়েছি। যাতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ঘূর্ণিঝড় দানার মোকাবিলা করতে পারি”।