নিউজবাংলা, নয়াদিল্লি : ফ্রিজে রাখা লিভ-ইন পার্টনারের কাটা মুণ্ড। মাঝেমধ্যেই তার দরজা খুলে সেদিকে উঁকি৷ এই অবস্থায় ফ্ল্যাটে আনাগোনা ছিল নতুন বান্ধবীর। তখন অবশ্য ফ্রিজ বিলকুল ফাঁকা। প্রেমিকার কাটা মুণ্ড, দেহের টুকরো সবই চলে যেত দেরাজে৷ না, কোনও সিনেমার দৃশ্য নয়। বাস্তবে এমনই নৃশংস কাণ্ড ঘটে গিয়েছে রাজধানীর বুকে।
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা ২৬ বছরের শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের অভিযোগে সম্প্রতি আফতাব পুনাওয়ালাকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিস। সেই খুনের তদন্তে নেমে এমন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসছে তদন্তকারীদের। গোটা ঘটনায় কার্যত ‘লাভ জিহাদ’-এর অভিযোগ তুলেছেন শ্রদ্ধার বাবা। আফতাবকে ফাঁসির দাবিও জানিয়েছেন।
আফতাবের সঙ্গে শ্রদ্ধার পরিচয়। চলতি বছর মে মাস থেকে দিল্লির ছত্তরপুর এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে তাঁরা ‘লিভ ইন’ বা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন শ্রদ্ধা। সেটাই কাল হল। গত ১৮ মে এই নিয়ে এক দফা ঝগড়ার পরই আফতাবের হাতে খুন হন ওই তরুণী। তাঁর দেহ ৩৫ টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল অভিযুক্ত।
এরপর ১৮ দিন ধরে রাত দু’টোর সময় বেরিয়ে সেগুলি দফায় দফায় মেহরৌলির জঙ্গলে ফেলে এসেছিল৷ মঙ্গলবার পর্যন্ত এর মধ্যে ১৩টি টুকরো উদ্ধার করতে পেরেছে পুলিস। সেই দেহাংশ ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে উঠে এসেছে আফতাবের এক নতুন বান্ধবীর নাম। তাতেই নতুন মোড় নিয়েছে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড।
এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে আফতাবের। ফ্ল্যাটে পর্যন্ত তাঁর আনাগোনা ছিল। নতুন বান্ধবী এলেই শ্রদ্ধার দেহের টুকরো ফ্রিজ থেকে সরিয়ে একটি দেরাজে রেখে দিত অভিযুক্ত৷ বান্ধবী চলে যাওয়ার পর আবার তা ফিরে আসত ফ্রিজে। দিনের পর দিন এমনটাই করে গিয়েছে সে৷ ঘর থেকে দুর্গন্ধ না বের হতে পারে, সেজন্য ধূপ ও সুগন্ধি ব্যবহার করত অভিযুক্ত। পুলিস ওই বান্ধবীর খোঁজে নেমেছে।