দিঘা : দিঘায় বেড়াতে এসেছিল সদ্য বিবাহিত এক দম্পতি। রাতে হোটেলের ঘরে দু’জনের মধ্যে ঝামেলা বেঁধে যায়। আর সেই অভিমানে হোটেলের ৩ তলা থেকে মরণ ঝাঁপ দিলেন গৃহবধূ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে গুরুতর জখম অবস্থায় ওই গৃহবধূকে উদ্ধার (Digha) করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে দিঘা থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে তাঁর স্বামীকেও ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিহারের জামুই জেলার জগদীশপুর থানা এলাকা থেকে নিউ দিঘার একটি হোটেলে ওঠেন রাধা কুমারী মিশ্রা ও স্বামী নবনিত পান্ডে। মাস খানেক আগেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের। হানিমুন সারতে দিঘাকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। বুধবার রাত্রি ৯টা নাগাদ স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কোনও বিষয় নিয়ে বচসা শুরু হয়। এরপরেই ৩ তলার হোটেলের ঘর থেকে আচমকাই বারান্দায় গিয়ে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলা। ছুটে গিয়ে তাঁকে বাঁচানোর জন্য ধরে ফেলেও শেষ রক্ষা হয়নি। হাত ফস্কে নীচে পড়ে যান ওই গৃহবধূ।
এই ঘটনায় মারাত্মক জখম হন মহিলা। এই ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। খবর পেয়ে দিঘার থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে মহিলাকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে দিঘা স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। মহিলার মাথা ও শরীরে ব্যাপক গুরুতর আঘাত লেগেছে। দিঘা হাসপাতালে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পর মহিলাকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রাধা কুমারী জানান, “কিছুদিন আগেই আমাদের বিয়ে হয়েছে। স্বামী একটি কলেজে কেরানীর কাজ করেন। দু’জনে দিঘায় বেড়াতে এসেছিলাম। হোটেলে কয়েকদিন থাকার ইচ্ছে ছিল। তবে রাতে কথা কাটাকাটি হয়েছিল বলেই রাগের মাথায় ঝাঁপ দিতে গিয়েছিলাম”। হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই নিজের নাম ও পরিচয় জানান আহত গৃহবধূ। তবে কি কারনে এমন ঘটনা তা জানতে ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।