নিউজবাংলা ডেস্ক : মেয়াদ ছিল ২০২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত, কিন্তু সোমবার আচমকাই মাঝপথে থেমে গেল বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসেবে দিলীপ ঘোষের মেয়াদ। যা ঘিরে শুরু হয়েছে নানান বিতর্ক। ঠিক কোন কারনে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমন সিদ্ধান্ত নিলেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোরদার কাটাছেঁড়া। দলের একটা শ্রেণী এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন আবার অনেকেই এখনও ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারেননি।
তবে দলের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য কি তা জানতে উৎসুক দলের নেতা-কর্মী থেকে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও। দিলীপ ঘোষ একটি বেসরকারী চ্যানেলের প্রশ্নের উত্তরে জানিয়েছেন, ” সারাজীবন কেউ একপদে থাকে না। সমাজ যেটা চাইছে, পার্টি যেটা চাইছে সেটাই হবে”। দিলীপবাবুর উক্তি, “গত কয়েক বছরে পার্টির মধ্যে ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। দলের বিস্তৃতি বেড়েছে অনেকটাই। আমি বাংলার নেতা, এখানে যা দায়িত্ব পাব তাই করব”।
আরও পড়ুন : বিজেপির রাজ্য সভাপতি পদ থেকে অপসারিত দিলীপ ঘোষ, নতুন দায়িত্বে বালুরঘাটের সাংসদ !
তবে দিলীপ ঘোষ জানান, “আমি আগেও বলেছি, দলের প্রয়োজন মতো পরিবর্তন হওয়া দরকার। জুলাইয়ে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সে কথাই জানিয়েছিলাম। আজ দুপুরে নাড্ডা’জী (জে.পি.নাড্ডা) আমাকে ফোন করে জানালেন সুকান্ত মজুমদার’কে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। আমি এই সিদ্ধান্ত সাদরে গ্রহণ করেছি”।
দিলীপ জানান, “সুকান্ত যোগ্য মানুষ, শিক্ষিত। এতদিন দলে কলকাতার প্রভাব বেশী থাকলেও এবার উত্তরবঙ্গের সভাপতি হয়েছে। আগে আমি জঙ্গলমহল থেকে ছিলাম। এখন পূর্ব মেদিনীপুর থেকে বিরোধী দলনেতা রয়েছে। এবার ভারতীয় জনতা দল আরও বিস্তৃতি লাভ করবে” বলেই দাবী করেছেন দিলীপ ঘোষ।
যদিও আজ সন্ধেবেলায় দিলীপ ঘোষ সাংবাদিকদের সঙ্গে রাজ্য সভাপতি হিসেবে সম্মেলন করেছেন। সেখানে ব্যক্তিগত আলাপচারিতাতেও তিনি কাউকেই জানাতে পারেননি রাজ্য সভাপতি পদ থেকে তাঁকে অপসারিত করা হচ্ছে। পরে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে খবর আসে দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে মাঝপথে দিলীপ ঘোষের অপসারণ ঘিরে জল্পনা রয়েই গেল।