নিউজবাংলা : কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজে স্নাতকস্তরে ছাত্র ভর্তির নামে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ পৌঁছল। অভিযোগ উঠেছে ওই কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তথা মন্ত্রি অখিল গিরির পুত্র সুপ্রকাশের বিরুদ্ধে। যদিও সুপ্রকাশ বলেন, আমি ভর্তির জন্য এরকম কোনও সুপারিশ অধ্যক্ষের কাছে পাঠাইনি৷ এরকম কোনও প্রমাণ দিতে পারলে কলেজ থেকে বেরিয়ে আসব।
সুপ্রকাশের দাবী, আমি চাই, ভর্তি নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে তা নিয়ে একটা তদন্ত কমিটি হোক। ইতিমধ্যে ভর্তির নামে টাকা চাওয়া নিয়ে কিছু অডিও ভাইরাল হয়েছে। গোটা বিষয়টির তদন্ত হোক।
প্রসঙ্গতঃ গত ২৮ অক্টোবর কাঁথি শহরের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইলিয়াস মহম্মদ, শেখ মনজুর আহমেদ সহ বেশ কয়েকজন কাঁথি পিকে কলেজে ভর্তিতে অনিয়ম নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রী, উপাচার্য এবং কলেজসমূহের পরিদর্শকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০২২-′২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিগ্রি কোর্সে ফার্স্ট সেমেস্টারে মেরিট লিস্ট উপেক্ষা করে অনেকে ভর্তি হয়েছেন।
কলেজের গভর্নিং তালিকার বাইরের আবেদনকারীদের ভর্তির সুপারিশ করেন। বডির সভাপতি অধ্যক্ষের কাছ চিরকুট পাঠিয়ে মেধা ওইভাবে বেশ কয়েকজন ভর্তি হয়েছেন। এক্ষেত্রে মোটা অর্থ লেনদেন হয়েছে। এই অনিয়ম গোপন করার জন্য ওয়েবসাইট থেকে প্রথম দফার মেরিট লিস্ট তুলে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগকারী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী মনজুর সাহেব এবং ব্যবসায়ী ইলিয়াস সাহেব বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে চান। কিন্তু, কাঁথি পিকে কলেজে ভর্তির নামে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। মেধা তালিকা উপেক্ষা করে গোপনে নিয়োগ করা হয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি। এর আগে সৌমেন্দু অধিকারী এই কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান থাকাকালীন নির্মাণ কাজে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, মন্ত্রিপুত্র তিন-চার দফায় ছাত্রছাত্রীদের নামের চিরকুটে সুপারিশ পাঠিয়েছেন।