নিউজবাংলা ডেস্ক : মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীকে মারধর করে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হল ঘাতক স্বামী। একাধিক স্বাক্ষীর বয়ানের ভিত্তিতে হলদিয়ার সাউতানচক গ্রামের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাসকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন হলদিয়ার (Haldia) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক। আজ অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারী আইনজীবি সোমনাথ ভূঞ্যা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৯ সালের ১৭ই মে বেলা ১০টা নাগাদ স্ত্রী লক্ষ্মী দাসের সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে বিশ্বজিতের। এরপর দুপুর ২টো নাগাদ রাগের বশে ধারালো কাটারি নিয়ে স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে কুপিয়ে খুন করে বিশ্বজিৎ। এরপর ঘটনাস্থল ছেড়ে পালাতে চেষ্টা করলে প্রতিবেশীরা তাঁকে ধরে ফেলে। খবর পেয়ে হলদিয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্তকে পাকড়াও করে।
ঐদিন ঘটনার বিষয়ে লক্ষ্মী দাসের দাদা ভুতুনাথ মাজী হলদিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। (Haldia PS Case No 43/2019 dt. 17/05/19, Sessions Case No 150/19, ST Case No 01(02)2020)। ঘটনার তদন্ত শুরু করে হলদিয়া থানার পুলিশ। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা কাটারী, লক্ষীদাসের চারখানা দাঁত এবং রক্তমাখা মাটি সীজ করে। ওই বছরের ১৪ আগষ্ট বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে আইপিসি ৩০২ ধারায় চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। এরপর ২০২০ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করা হয়।
মামলার সরকারী আইনজীবি সোমনাথ ভূঞ্যা জানিয়েছেন, “এই মামলায় মোট ১২ জনের স্বাক্ষ গ্রহন করা হয়েছে। সমস্ত সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে গতকাল ১৪ই জানুয়ারীহলদিয়া আদালতের মাননীয় অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অঞ্জন কুমার সরকার অভিযুক্ত বিশ্বজিতকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। আজ তাঁর সাজা ঘোষণা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২০০৭ সালে ভবানীপুর থানার চকদ্বীপা গ্রামের দুলাল মাজীর কন্যা লক্ষী’র সঙ্গে হলদিয়া থানার সাউতানচক গ্রামের বিশ্বজিৎ দাসের বিয়ে হয়েছিল। ওদের দুটি পুত্র সন্তান আছে। কিন্তু বিয়ের কয়েক বছর পর থেকে বিশ্বজিৎ প্রায়শই নেশা করে বাড়িতে এসে লক্ষীকে অপবাদ দিয়ে মারধর করত।