হলদিয়া : বছরের শুরুতেই শিল্পে খরা কাটার সুখবর হলদিয়ায়। প্রায় ২০০ কোটি টাকা বিনিয়োগে নবরূপে চালু হতে চলেছে ফেরো অ্যালয় কারখানা। স্টিল উৎপাদক সংস্থাকে কাঁচামাল সরবরাহ করবে এই কারখানা। দক্ষ-অদক্ষ মিলিয়ে একলপ্তে ৫০০ জনের প্রাথমিক কর্মসংস্থানও (Haldia Job Vacancy) হতে চলেছে বলে সংস্থার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।
উচ্ছ্বসিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিল্পবান্ধব পরিবেশ বজায় রাখতে যে কোনও ধরনের সাহায্যে প্রস্তুত তারা। ফেরো অ্যালয় নামক যৌগটি ইস্পাত কারখানার গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল। ২০০৮ সালে বাম আমলেই অন্য একটি সংস্থা হলদিয়ায় এই ফেরো অ্যালয় কারখানাটি গড়েছিল। কিন্তু সেই সংস্থা ২০১৯ সালে উৎপাদন বন্ধ করে দেয়।
ওই বছরেই কারখানাটি জাতীয় কোম্পানি আইন ট্রাইব্যুনাল (এনসিএলটি)-এ চলে যায়। ২০২১ সালে ওড়িশার শিল্পসংস্থা মর্ডান ইন্ডিয়া কনকাস্ট লিমিটেড ( কাসভি গ্রুপ) সেটি কিনে নেয়। সেই সংস্থাই আগামী বুধবার হলদিয়ায় কারখানার দ্বার উদ্ঘাটন করতে চলেছে। ওই দিন কারখানার উদ্বোধন করবেন পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি।
কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, কারখানা হস্তান্তরের পর থেকে গত কয়েক মাস ধরে কিছু সংস্কার করে তাকে উৎপাদনের উপযোগী করে গড়ে তোলা হয়েছে। আগামী বুধবার উৎপাদন শুরু হবে। প্রাথমিক ভাবে বাৎসরিক ১ লক্ষ মেট্রিক টন ফেরো অ্যালয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। পরিস্থিতি অনুকূল হলে বিনিয়োগ ও উৎপাদনের মাত্রা বাড়ানো হবে। বাড়বে কর্মসংস্থানও।
কাসভি গ্রুপের ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবব্রত বেহেরা বলেন, “আমাদের প্রাথমিক সুবিধা হল, এই যৌগ উৎপাদনের মূল যে কাঁচামাল ম্যাঙ্গানিজ তা উৎপাদনের নিজস্ব খনি রয়েছে আমাদের। দ্বিতীয়ত, আমরা একটা তৈরি কারখানা পেয়েছি। কারখানা ক্রয় ও সংস্কারে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি এখানে যোগ্য মানব সম্পদ সহজলভ্য। তাই আমরা খুব আশাবাদী। স্থানীয় জেলা প্রশাসন সর্বোচ্চ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।”
জেলাশাসকের আশ্বাস, “জেলায় যে কোনও শিল্প-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান নিশ্চিন্তে যাতে ব্যবসা করতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে আমরা একশো ভাগ তৈরি। কোনও অসুবিধা হলে নির্দ্বিধায় জানান। দ্রুত তার সমাধান করা হবে।”
গত কয়েক বছর ধরে রাজ্যের অন্যতম শিল্পতালুক হলদিয়ায় সে ভাবে বড় কোনও বিনিয়োগ আসেনি। কয়েকটি কারখানা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি এমন অভিযোগও উঠেছে, যে শিল্পের অনুকূল পরিবেশ না থাকায় একাধিক চালু কারখানা তাদের ইউনিট সম্প্রসারণের পরিকল্পনা স্থগিত রেখেছে। হলদিয়া বন্দরের অপর্যাপ্ত নাব্যতাও কারখানা গঠনে বড় বাধা বলেও অভিযোগ।
সে দিক থেকে এই বিনিয়োগ অন্যদেরও এখানে বিনিয়োগে উৎসাহিত করবে বলে আশা শিল্পশহরবাসীর। নতুন বছরের গোড়াতেই এই খবর নিশ্চিতভাবে আশা জাগাচ্ছে রাজ্যের শিল্পায়নেও।
fire and safety job Vacancy
Im interested yes
Site ta din
kon site?