নিউজবাংলা : জি-২০ গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রনেতাদের সামনে খাদ্য এবং জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বোধনী বক্তৃতা দেন মোদী। বিশদে না-বলেও মোদী বুঝিয়ে দেন, রাশিয়া থেকে অশোধিত তেল আমদানির প্রশ্নে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞাকে মান্যতা দিতে চাইছে না নয়াদিল্লি। তাঁর কথায়, “বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পাওয়া দেশ হিসাবে ভারতের জ্বালানি নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক বৃদ্ধির জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞায় আমাদের উৎসাহ দেওয়া উচিত নয়।”
ইউক্রেনে যুদ্ধ পরিস্থিতিতে আমেরিকা-সহ বিভিন্ন পশ্চিমি দেশের চাপের মোকাবিলা করেই নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া মস্কো থেকে অনেক সস্তায় অশোধিত তেল কিনছে ভারত। আজ আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনকের উপস্থিতিতে মোদীর এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি, ১৫ নভেম্বর: ইউক্রেনে সংঘর্ষবিরতির দাবি তোলার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জি-২০ বৈঠকে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে আমদানির ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা বরদাস্ত করবে না ভারত। এবং এ ভাবেই আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী ভারতের অবস্থানে রাশিয়া এবং পশ্চিমি দেশগুলির দাবির মধ্যে ভারসাম্য রাখলেন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
এর আগে সমরখন্দে এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, “এটা যুদ্ধের সময় নয়।”জি ২০ সম্মেলন অবশ্য এড়িয়ে গিয়েছেন পুতিন। তাই বলে বার্তা দেওয়ার প্রশ্নে অস্পষ্টতা রাখেননি মোদী। জ্বালানি ক্ষেত্রে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও সমঝোতা তিনি যে করবেন না, তা জানিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি যুদ্ধ বিরতির দাবি তুলেছেন তিনি। এক দিকে বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা এবং মূল্যবৃদ্ধির জেরে খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে যেমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, অন্য দিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের উদাহরণ তুলে, বিশ্বে শান্তি ফেরানোর ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।