নিউজবাংলা, খড়্গপুর : মাস কয়েক আগেও বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের স্থান ধরে রেখেছিল প্রতিষ্ঠান। অথচ এ বার এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে গেল আইআইটি খড়্গপুর। যদিও এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ের তুলনায় দেশের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখাকেই বড় সাফল্য হিসাবে দেখছেন আইআইটি কর্তৃপক্ষ। খড়্গপুর আইআইটির পক্ষ থেকে এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে দেশের প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে পঞ্চম স্থান ধরার কথা প্রচারও করা হচ্ছে।
সম্প্রতি কিউএস এশিয়া র্যাঙ্কিং ২০২৩ প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে দেশের মধ্যে পঞ্চমস্থানে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। দেশে প্রথম আইআইটি মুম্বই। আইআইটি দিল্লি দ্বিতীয়, আইআইএসসি বেঙ্গালুরু তৃতীয়, আইআইটি মাদ্রাজ চতুর্থস্থানে রয়েছে। এ বার মুম্বই আইআইটি যেখানে ৬৮.৭ নম্বর পেয়েছে, সেখানে খড়্গপুর আইআইটি পেয়েছে ৫৫.৪।
প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি, কর্মীদের ভাবমূর্তি, গবেষণা, ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত-সহ ১১টি মাপকাঠিতে হয়েছে বিচার। খড়্গপুর আইআইটির ডেপুটি ডিরেক্টর অমিত পাত্র বলেন, “গত এক দশক ধরে আমরা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে নিজেদের ধারাবাহিক বৃদ্ধি দেখে আনন্দিত। একটি প্রযুক্তিবিদ্যার প্রতিষ্ঠান হওয়ায় আমাদের দেশের অর্থনীতি বড় ধরনের প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা রয়েছে। শীঘ্র আমরা নিজেদের ভান্ডারে চিকিৎসা শিক্ষা যোগ করতে চলেছি যা এমআইটি, স্ট্যানফোর্ডের মতো বিশ্বসেরাদের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সুযোগ এনে দেবে।”
অবশ্য ধারাবাহিক বৃদ্ধি কতটা হচ্ছে তা নিয়ে সংশয়ও রয়েছে। কারণ এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে সর্বিকভাবে পিছিয়ে পড়েছে আইআইটি খড়্গপুর। সেই র্যাঙ্কিংয়ে ৬১নম্বর স্থানে রয়েছে প্রযুক্তিবিদ্যার এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। অথচ খড়্গপুর আইআইটি ২০১৯ সালে প্রকাশিত কিউএস এশিয়া র্যাঙ্কিং-২০২২ সালে ৫৬ নম্বরে ছিল। ২০২১ সালে তা হয় ৫৮ নম্বর। আর ২০২২ সালে ৬০ নম্বরে পৌঁছেছিল খড়্গপুর আইআইটি।
এ বার আরও একধাপ নামতে হল। এর পিছনে কী কারণ তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আইআইটি কর্তৃপক্ষ পর্যালোচনা শুরু করেছেন। তবে এই পিছিয়ে পড়ার কথা এখনই তাঁরা জনসমক্ষে আনতে চাইছেন না। দেশের নিরিখে সাফল্যের কথাকেই সামনে রাখা হচ্ছে।
কিন্তু কেন এশিয়া র্যাঙ্কিংয়ে এ ভাবে পিছিয়ে পড়ল প্রতিষ্ঠান? রেজিস্ট্রার তমাল নাথ বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে আমরা ভাল ফল করেছি। তবে আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। আমাদের আরও ভাল করতে হবে। কোথায় ঘাটতি রয়েছে সেটা নিশ্চয় খুঁজব। তবে আমার মনে হয় না এক-দু’ধাপ পিছিয়ে যাওয়া মানে অনেকটা পিছিয়ে পড়া। আমরা নিজেদের জায়গায় রয়েছি। বরং কোথাও হয়তো অন্য প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠান আরও ভাল ফল করায় ওরা এগিয়ে গিয়েছে।”
সংবাদ সূত্র – আনন্দবাজার পত্রিকা