নিউজবাংলা : এক বছরে মদ বিক্রীতে প্রায় হাজার কোটি’র দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল পূর্ব মেদিনীপুর। বিশ্বকাপ ফাইনালের পর সাহেবের বড়দিন। মদ বিক্রীতে (Liquor Sell) রাজ্যে রীতিমতো নজির গড়ল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা। জেলা আবগারি দফতরের হিসেব বলছে বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন থেকে ক্রমাগত বেড়েছে মদ বিক্রীর পরিমান। আর ২৫ ডিসেম্বর সমস্ত হিসেব বদলে দিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে প্রায় ৫ কোটি টাকারও বেশী মদ বিক্রী হয়েছে বলে জেলা আবগারি দফতর সূত্রে জানা গেছে। যা গোটা রাজ্যের হিসেবে নজির গড়েছে বলেই দাবী।
আবগারি দফতর সূত্রে খবর, নভেম্বর মাস থেকে মদ বিক্রির পরিমাণ খানিকটা থিতিয়ে গিয়েছিল। অক্টোবর মাসে পুজোয় হাত খুলে খরচ হয়েছে। তারপর নভেম্বর মাস হিসেব করে কাটাতে হয়। সেজন্য গোটা মাস প্রায় ‘ড্রাই’ যাচ্ছিল। ১৮ ডিসেম্বর বিশ্বকাপ ফুটবলের ফাইনালে মেসিদের জয় সেলিব্রেট করতে আচমকা বিক্রি বেড়ে যায়। এক রাতেই ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মদ বিক্রি হয়। তারপর থেকে বিক্রির সূচক ক্রমশ ঊর্ধমুখী হয়।
শুধুমাত্র ২৫ ডিসেম্বর এই জেলায় মদ বিক্রী হয়েছে ৫ কোটি ১২ লক্ষ টাকার। তার আগের রাতে মদ বিকিয়েছে প্রায় ৪ কোটি ১ লক্ষ টাকার। আর বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন প্রায় ৩ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার মদ বিক্রী হয়েছে এই জেলায়। গোটা রাজ্যে অন্য কোথাও বড়দিনে এত টাকা উপার্জন করতে পারেনি আবগারি বিভাগ।
জেলা আবগারি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে ৯০৭ কোটি টাকার টার্গেট দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই টার্গেট ছাপিয়ে ৯৩৪ কোটি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে এই জেলায়। আধিকারীকদের দাবি, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে আরও অন্তত আড়াইশো কোটির টাকার মদ বিক্রি হবে। সেই হিসেবে ২০২৩ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত এক হাজার কোটির বিক্রির টার্গেট দিয়েছে রাজ্য সরকার। আর জেলা আবগারি দপ্তরের অফিসারদের দাবি, সেই পরিমাণ ১১০০কোটি টাকা ছাপিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
টানা তিন বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা মদ বিক্রিতে রাজ্যে শীর্ষ স্থানাধিকারী। দ্বিতীয় স্থানে আছে পশ্চিম বর্ধমান৷ প্রথমের থেকে দ্বিতীয় স্থানাধিকারীর তফাৎ একশো কোটির বেশি। দীঘা, মন্দারমণি ছাড়াও হলদিয়া, তমলুক এবং পাঁশকুড়া এলাকায় বিক্রি ধারাবাহিকভাবে ভালো। এই মুহূর্তে মোট ২৭৩টি দোকান চলছে জেলা জুড়ে।