নন্দন বেরা, এগরা : এক ব্যক্তির রহস্যজনক মৃত্যু ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানার জেটথান গ্রাম পঞ্চায়েতের কিয়া গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম অজিত জানা (৫৫)। গ্রামেরই একটি পুকুর থেকে তাঁর মৃতদেহটি উদ্ধার করেছে এগরা থানার পুলিশ। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু নিয়ে দানা বেঁধেছে রহস্য। গ্রামের একটি সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। গ্রামেরই এক নাবালিকার রহস্যজনক মৃত্যুর সঙ্গে অজিতের মৃত্যুর যোগসূত্র রয়েছে বলে দাবী একাংশের। তবে ঘটনা নিয়ে মুখে কুলূপ এলাকাবাসীর।
এগরা থানা সূত্রে জানা গেছে, আজ বেলার দিকে পুলিশের কাছে খবর আসে কিয়া গ্রামের পুকুরে ভাসছে এক ব্যক্তির মৃতদেহ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও এলাকাবাসীরা চুপিসাড়ে সরে যায়। মৃতের পরিজনেরাও ঘটনা নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয়। মৃতদেহটিকে উদ্ধারের পর দেহটি ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
তবে পুলিশ ঘটনাটি নিয়ে মুখ খুলতে না চাইলেও এই ব্যক্তির মৃত্যু অস্বাভাবিক বলেই একটি সূত্রের দাবী। গ্রামের একটি সূত্রে দাবী, অজিত জানা’র মৃত্যুর সঙ্গে এলাকারই একটি নাবালিকার অস্বাভাবিক মৃত্যুর যোগ সূত্র রয়েছে। প্রায় ৯দিন আগে কিয়া গ্রামে এক নাবালিকার মৃতদেহ পুকুর থেকে উদ্ধার হয়। পরে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের পর তা সৎকারও করে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের সন্দেহ হয়, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে মেরে ফেলেছে অজিত। বছর কয়েক আগেও একই ধরণের অভিযোগে অজিত গ্রেফতার হয়। পরে প্রমাণের অভাবে ছাড়াও পেয়ে যায়।
কিন্তু এবার যে মেয়েটির মৃত্যু হয় সেই ঘটনায় অজিতের জড়িত থাকার সন্দেহে মঙ্গলবার সকালে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় । কিন্তু অজিত নিজের দোষ কবুল করতে চায়নি। এরপরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তাঁর দেহ ওই পুকুর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। গোটা ঘটনায় অজিতের পরিবারেরও মুখে কুলুপ।
যদিও এগরা মহকুমা পুলিশ আধিকারীক এমডি. বদিউজ্জামান জানান, “এক ব্যক্তির দেহ পুকুরে ভাসছে এমন খবর পেয়ে এলাকায় যায় এগরা থানার পুলিশ। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। কিভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা ময়না তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পেলে জানা যাবে। তবে ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। কোনও অভিযোগ এলে তা খতিয়ে দেখা হবে”।