পাঁশকুড়া : পাঁশকুড়া চিপস কান্ডে এবার অভিযুক্ত সিভিকের বিরুদ্ধে মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল আর এক হোমগার্ডের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই (Panskura) পাঁশকুড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত ছাত্রের মা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। যদিও অভিযুক্তদের দাবী, তাঁদের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত ১৮ মে পাঁশকুড়া থানার গোঁসাইবেড় এলাকায় সিভিক ভলেন্টিয়ারের শুভঙ্কর দীক্ষিতের মিষ্টির দোকান থেকে চিপস চুরির অভিযোগ উঠেছিল ওই এলাকার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র কৃষ্ণেন্দু দাসের বিরুদ্ধে। বাইক নিয়ে পিছু ধাওয়া করে রাস্তায় বাচ্চাটিকে শাসানোর অভিযোগ ওঠে শুভঙ্করের বিরুদ্ধে। অপমান সহ্য করতে না পেরে ওই শিশুটি বাড়িতে রাখা কীটনাশক খেয়ে নেয় বলে দাবী পরিবারের। প্রায় ৪ দিন চিকিৎসা চলার পর গত ২২মে হাসপাতালে শিশুটির মৃত্যু হয়।
পরবর্কাতীলে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ প্রকাশ্যে আনে শুভঙ্কর। যেখানে দেখা যায় দোকান থেকে ৩টি চিপসের প্যাকেট কুড়িয়েছিল শিশুটি। এবং শিশুটিকে দোকানে এনে তাঁর মা সুমিত্রা দাস শাসন করেছিলেন। তবে মৃতের পরিবার সহ এলাকাবাসীর অভিযোগ, শুভঙ্করের কাছে অপমানিত হয়েই কীটনাশক খেয়েছিল কৃষ্ণেন্দু। এই ঘটনায় শুভঙ্করের গ্রেফতারির দাবীতে জোরদার আন্দোলন শুরু হয় এলাকাজুড়ে। ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড় হয় রাজ্য রাজনীতি। অবশেষে ঘটনার বেশ কিছুদিন পর ওই সিভিক ভলেন্টিয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।
এবার মামলাটিকে তুলে নেওয়ার জন্য মৃত শিশুর পরিবারের ওপর চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ধৃত শুভঙ্করের প্রতিবেশী তমলুক পুলিশ লাইনে কর্মরত হোমগার্ড পুলক গোস্বামী ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে। মৃত শিশুর মা সুমিত্রা দাস অভিযোগ জানিয়ে বলেন, “ছেলের মৃত্যুর ঘটনার মামলাটি প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমার বাড়িতে এসে চাপ দেওয়া হচ্ছে। এই ঘটনায় আতংকিত হয়ে পুলক গোস্বামী সহ ৮ জনের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি”। অন্যদিকে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, লিখিত অভিযোগ এসেছে। বর্তমানে ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।