কাঁথি : পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে অধিকারী গড়ে মেগা জনসভায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একদিকে তাঁর সভা সফল করতে জেলা জুড়ে তৎপরতা তুঙ্গে। তারই মাঝে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর দড়ি টানাটানি’র ঘটনা। কার হাতে থাকবে অভিষেকের সভার রাশ তা নিয়েই শুরু হয়েছে যাবতীয় জল্পনা। যা প্রকাশ্যে এসেছে সভাস্থল নির্বাচনকে কেন্দ্র করেই।
গত ১৬ ডিসেম্বর কাঁথি’র অরবিন্দ স্টেডিয়ামে ঘটা করে অভিষেকের সভা মঞ্চের খুঁটি পুজো সারেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি তরুন মাইতি, জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিধায়ক উত্তম বারিক প্রমূখরা। এরপর মঞ্চ বাঁধার কাজও শুরু হয়ে যায়। কিন্তু আচমকাই ছন্দপতন। মঙ্গলবার নতুন করে সভাস্থল হিসেবে খুঁটি পুজো হয়ে গেল কাঁথির কলেজ মাঠে।
এই অনুষ্ঠানে আবার হাজির ছিলেন তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র, কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান সুবল মান্না, দলের শহর সভাপতি হরিসাধন দাসঅধিকারী, সুপ্রকাশ গিরি সহ আরও অনেকে ছিলেন। তবে, কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি এবং সভাধিপতি ছিলেন না। এই সভাস্থল বদলের নেপথ্যে অখিল গিরি পুত্র সুপ্রকাশের হাত রয়েছে বলেই তৃণমূলের একটি অংশের দাবী।
যদিও এখনও পর্যন্ত অভিষেকের সুরক্ষা ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকা স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপের অধিকর্তারা সভাস্থল পরিদর্শনে পৌঁছাননি। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই তাঁরা আসবেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ যেখানে সভাস্থল সুরক্ষিত মনে করবেন সেখানেই সভা হবে। তবে কাঁথিতে অভিষেকের সভা নিয়ে এই দড়ি টানাটানি ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে সবার।
সুপ্রকাশ গিরি বলেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে অরবিন্দ স্টেডিয়ামে সভা করা সম্ভব নয়। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তাঁর নিরাপত্তা একটা বড় ইস্যু। সেজন্য কলেজ মাঠকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এসপিজি এখনও ভিজিট করেনি। তবে, অভিষেকবাবুর নিজস্ব নিরাপত্তারক্ষীরা এসে দু’টি জায়গা পরিদর্শন করার পর কলেজ মাঠকে বেছে নিয়েছেন। যদিও বিতর্কে না গিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তরুণবাবু বলেন, দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কলেজ মাঠে সভা হবে। কলকাতায় থাকার জন্য এদিনের খুঁটিপুজোয় থাকতে পারিনি।