নিউজবাংলা ডেস্ক : জল অপচয় দেখলেই এবার এফআইআর করবে রাজ্য। মঙ্গলবার বাড়ি বাড়ি জল প্রকল্প নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেখানেই জলের অপচয় নিয়ে ক্ষোভ (Preserve Drinking Water) উগরে দেন তিনি। পাশাপাশি, সংযোগ দেওয়ার পরেও জল না পাওয়ার অভিযোগ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই সমস্যায় দ্রুত ইতি টানতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরকে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী।
তার পরেরদিন অর্থাৎ বুধবারই দপ্তরের পদস্থ আধিকারিক ও জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে এনিয়ে বৈঠক করেন দপ্তরের মন্ত্রী পুলক রায়। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যেখানেই জল অপচয় হবে, সেখানেই যেন এফআইআর করা হয়।
জেলায় জেলায় এই বার্তা পৌঁছনোর পর বুধবার সন্ধ্যায় বেশ কিছু এফআইআর দায়ের হয়েছে বলে খবর। জলের অপচয় আটকানোর পাশাপাশি প্রতিটি বাড়িতে পর্যাপ্ত জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এদিনের বৈঠকে।
কল আছে, অথচ জল নেই—এই অভিযোগ যেসব জায়গা থেকে এসেছে, সেখানে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জল সরবরাহ নিশ্চিত করতে বলাল হয়েছে। পর্যাপ্ত পানীয় জল সরবরাহের প্রশ্নে এবার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করবে রাজ্য। যদি কোথাও পর্যাপ্ত জল সরবরাহ না হওয়ার অভিযোগ ওঠে, তাহলে তার জবাবদিহি করতে হবে সংশ্লিষ্ট ইঞ্জিনিয়ারকে।
[আরও পড়ুন : পাইকারি বাজারে তিন টাকায় ফুলকপি, হাত ঘুরে সেটাই খুচরো বিকোচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকায় !]
রাজ্যে মোট ১ কোটি ৭৫ লক্ষ বাড়িতে জলের সংযোগ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই ৯৩ লক্ষ বাড়িতে সংযোগ দেওয়ার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। বকেয়া কাজ করার জন্য দপ্তরের আধিকারিকদের হাতে পর্যাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার নেই। এই সমস্যার কথা মুখ্যমন্ত্রীর মঙ্গলবারের বৈঠকে সামনে আসে।
[আরও পড়ুন : সেতু থেকে পড়ে মৃত্যু : গুগল আধিকারিকের বিরুদ্ধে মামলা !]
একথা শোনার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রয়োজনে অন্য দপ্তর থেকে ইঞ্জিনিয়ার নিতে হবে। তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ার চেয়ে পূর্ত, এইচআরবিসি, হিডকো, কেএমডিএ এবং আবাসন দপ্তরের কাছে চিঠি লিখেছেন দপ্তরের সচিব সুরেন্দ্র গুপ্ত।