নিউজবাংলা : রাজ্যের কারেকশনাল হোম বা সংশোধনাগারে (Correctional Home) বন্দীদের সঙ্গে থাকতে পারবেন তাঁদের পরিবার। এমনই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগেও এমন পদ্ধতি থাকলেও আরও সরলীকরণ করা হচ্ছে গোটা ব্যবস্থার। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে মিলন উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসে এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কারা প্রতিমন্ত্রী অখিল গিরি। তিনি জানান, “এই নিয়ে শীঘ্রই আমরা সিস্টেম আনছি”।
অখিলের যুক্তি, “কারাগারকে আমরা আগে কারেকশনাল হোম বলতাম আর এখন যে কারণে আমরা বলছি ওপেন কারেকশনাল হোম”। তিনি জানান, “সাজাপ্রাপ্ত কোনও বন্দি যদি ফ্যামিলি নিয়ে থাকতে চায়, তারা নিশ্চিত থাকতে পারবে”। তিনি জানান, “, আমরা এই সিস্টেমটা আনছি”।
কারামন্ত্রী জানান, “আলিপুর সেন্ট্রাল জেলে যেমন মিউজিয়াম খোলা হয়েছে। গতকালই মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় বলছিলেন। আপনারাও গিয়ে দেখতে পারেন। সবার জন্য এই মিউজিয়াম খুলে দেওয়া হয়েছে। কারণ এই জেলের ঐতিহাসিক অনেক গুরুত্ব রয়েছে। এখানকার ছেলে বন্দীদের বারুইপুরে সরিয়ে সেখানে মিউজিয়াম খোলা হয়েছে। তবে আলিপুরের মেয়ে বন্দীদের কোথাও সরানো হয়নি”।
অখিল জানান, “আন্দামানে ঠিক যেমন সেলুলার জেলকে মিউজিয়াম করে দেওয়া হয়েছে তেমনই আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের একটা বড় অংশকেই মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়েছে। আলিপুরের এই মিউজিয়াম পশ্চিমবঙ্গ সরকার তৈরি করে দিয়েছে”।
অখিলের যুক্তি, “এখন তো আর জেলখানা বলে কিছু নেই। এখন ওপেন সংশোধনাগার হয়ে গেছে। এই রাজ্যে ৪টি ওপেন সংশোধনাগার আছে। কয়েক দিন আগে তমলুকে কারাগারে গিয়েছিলাম। ভেতরে যারা আছেন তাঁদের মধ্যে অনেক বড় বড় শিল্পী আছেন”।
তাঁর মতে, “আইনের কচকচানিতে এমন মানুষরা আজ জেলে আটকে আছেন। কেউ ১২ বছর, কেউ ১৭ বছর। রাজ্য সরকার আইন শিথিল করছেন তাঁদের জন্য, যারা দীর্ঘদিন জেলে বন্দী রয়েছেন ১২ বছর ১৪ বছর, তাদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য”।