নিউজবাংলা ডেস্ক : আরজিকরে মহিলা চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে আচমকাই নয়া মোড় নিল সোমবার সন্ধ্যে নাগাদ। এদিন হঠাৎ করে সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে রীতিমতো ঘেরাটোপের মধ্যে দিয়ে নিয়ে বেরল (RG Kar Case) সিবিআইয়ের দল। এরপর আরজিকরের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে যাওয়া হল সোজা নিজামে।
তবে কেন সিবিআইয়ের এই তৎপরতা, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে কি কি প্রমাণ পেয়েছে সিবিআই তা জানতে উৎসুক গোটা রাজ্যের বাসিন্দারা। শীঘ্রই সুপ্রিম কোর্টে আরজিকর মামলার বিষয়ে অগ্রগতি রিপোর্ট দেওয়ার কথা সিবিআইয়ের। তার আগেই সন্দীপকে নিজামে নিয়ে গেলেন সিবিআই কর্তারা।
সূত্রের খবর, মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই আরজিকরের তৎকালীন প্রধান সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠতে শুরু করে। সন্দীপের বিরুদ্ধে রীতিমতো আন্দোলনে নামে জুনিয়র চিকিৎসকরা। একাধিক সিনিয়র চিকিৎসকও সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হন। এরপরেই আদালতের নির্দেশে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত শুরু করে সিবিআই।
এরপর থেকে টানা ১৫ দিন ধরে সিজিওতে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিয়েছেন সন্দীপ। কোনও দিন ১০ ঘন্টা কোনও দিন ৮ ঘন্টা ধরে টানা কাটিয়েছেন সিবিআই দফতরে। এরপর তিনি ফিরে গিয়েছেন নিজের বাড়িতে। তবে সোমবার সন্ধ্যায় আচমকাই বদলে গেল চিত্রটা। এদিন বেলার দিকে সন্দীপ সিবিআই দফতরে গেলেও সন্ধ্যে বেলা তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারলেন না। পরিবর্তে সিবিআই আধিকারীকদের ঘেরাটোপে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে সন্দীপকে নিয়ে যাওয়া হল নিজামে। এরপরেই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ৩টি দুর্নীতির মামলা দায়ের হয় টালা থানায়। সেই মামলাগুলির তদন্তের দায়িত্ব বর্তায় রাজ্য সরকার নিয়োজিত সিটের ওপর। তবে আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় এজেন্সীর হাতে। আজ দফায় দফায় সন্দীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এরপরেই সন্ধ্যে নাগাদ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আরজিকরে মহিলা চিকিৎসকের খুনের ঘটনায় এই গ্রেফতার না হলেও দুর্নীতির দায়ে অবশেষে গ্রেফতার সন্দীপ ঘোষ।
এই খবর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তাঁরা জানান, আন্দোলনের প্রথম দাবী ছিল এই চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের দাবী পূরণ হয়েছে এতে তাঁরা চরম খুশী বলেই জানিয়েছেন।