নিউজবাংলা ডেস্ক : মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রায় এক বছর সাড়ে ৩ মাস আগেই রাজ্য বিজেপির সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন দিলীপ ঘোষ। পরিবর্তে দায়িত্বে এলেন বালুরঘাটের সাংসদ ডঃ সুকান্ত মজুমদার। তাও আবার এমন একটা সময়ে যখন রাজ্যে ৩টি বিধানসভার উপনির্বাচন হতে চলেছে যার মধ্যে ভবানীপুরে প্রার্থী রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এমন এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আচমকাই বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদে বদল আনার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ঘিরে শোরগোল শুরু হয়েছে বিজেপির অন্দরেও। তবে দিলীপ ঘোষ’কে সরিয়ে নতুন সভাপতি আনার ঘটনাকে “অত্যন্ত সময়োচিত সিদ্ধান্ত” বলেই উল্লেখ করেছেন এক সময়ের বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথাগত রায়।
তিনি নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছেন, “ বালুরঘাটের সাংসদ ডাঃ সুকান্ত মজুমদারকে বিজেপির কেন্দ্রীয় সভাপতি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি মনোনীত করেছেন। অত্যন্ত সময়োচিত পদক্ষেপ। অনেকদিন আগেকার এক রাজ্য সভাপতির তরফ থেকে নব-মনোনীত রাজ্য সভাপতিকে অভিনন্দন”।
দিলীপ ঘোষ নিজেও নব নির্বাচিত রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ” ভারতীয় জনতা পার্টির নতুন রাজ্যসভাপতি হিসেবে ডঃ সুকান্ত মজুমদারকে অভিনন্দন জানাই এবং তার সাফল্য কামনা করি “|
থেমে থাকেননি শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি আবার দিলীপ ঘোষ এবং সুকান্ত মজুমদারকেই তাঁদের নতুন দায়িত্বের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। শুভেন্দুর ট্যুইট “দিলীপ ঘোষ (ন্যাশনাল ভাইস প্রেসিডেন্ট) এবং সুকান্ত মজুমদারকে তাঁদের নতুন দায়িত্বের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমি বিশ্বাস করি পার্টিকে শক্তিশালী করার জন্য তাঁরা উভয়েই তাঁদের সেরাটা দেবেন”।
তবে বিজেপির আর এক প্রাক্তনী রাজ্য সভাপতি (২০০৯-২০১৫) রাহুল সিনহা দলের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে এখনও কোনও মন্তব্য করেননি। অন্ততঃ তাঁর ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাঁকে।