HomeRecentMahishadal : মহিষাদল মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক বক্তৃতা সিরিজে প্রকাশ্যে এল চমকপ্রদ...

Mahishadal : মহিষাদল মহাত্মা গান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্মারক বক্তৃতা সিরিজে প্রকাশ্যে এল চমকপ্রদ উপলব্ধি !

spot_img
spot_imgspot_img
- Advertisement -

NewzBangla, Mahishadal : সামাজিক মাধ্যম, সংবাদপত্র, টিভি যেখানেই চোখ রাখবেন নজরে আসবে বর্তমান সমাজ অতিবাহিত হচ্ছে এক চরম অস্থির পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে। মানবিকতার ওপর ক্রমাগত আঘাত হানছে উগ্র মানবিক বিকৃতি। প্রতিনিয়ত ভুলুন্ঠিত হচ্ছে নারী সমাজ। দুর্নীতির জাল বিস্তার লাভ করেছে সমাজের আনাচে কানাচে। চারিদিক দিয়েই ঘিরে ধরেছে সামাজিক অবক্ষয়। আর এমন একটি সংকটজনক মুহূর্তে সমাজকে নতুন করে বাঁচার দিশা দেখাতে পারে মহাত্মাগান্ধীর জীবনদর্শন, আত্মশুদ্ধি, অহিংসা এবং আত্মনির্ভরতার বার্তা।

সম্প্রতি মহিষাদলের মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়োজিত ‘মহাত্মা গান্ধী মেমোরিয়াল লেকচার সিরিজ’-এ উঠে এল এমনই চমকপ্রদ উপলব্ধি। নতুন প্রজন্মের কাছে অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক হয়ে দেখা দিয়েছে গান্ধীজীর জীবনদর্শন। মহিষাদল মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সৌরাংশু মুখোপাধ্যায় জানান, “শিক্ষা শুধু সনদ নয়, শিক্ষা হল আত্মার আলোর পথ। আজকের সময়ে চারিদিকে যে পরিস্থিতির তৈরি হচ্ছে তাতে নতুন করে সামাজিক জীবনে গান্ধীজির মতাদর্শ ছড়িয়ে পড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ” বলেই জানিয়েছেন তিনি।

বর্তমান সমাজে গান্ধীজী’র ভাবধারা কতটা প্রাসঙ্গিক সেই সম্পর্কে চলছে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা।

এই অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ এবং বাঁকুড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক রূপকুমার বর্মন। তিনি বলেন, “গান্ধীজির চিন্তা আজও আমাদের সমাজে প্রাসঙ্গিক। অহিংসা, আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং নৈতিকতা ছাড়া কোনো সমাজ টিকে থাকতে পারে না”। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিষাদল বিধানসভার মাননীয় বিধায়ক শ্রী তিলক কুমার চক্রবর্তী। তিনি জানান, “এ ধরনের অনুষ্ঠান শিক্ষাক্ষেত্রে এক নতুন দিশা দেখাবে এবং ছাত্রছাত্রীদের নৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করবে”।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক অধ্যাপক জয়ন্ত কুমার দে এই অনুষ্ঠানে মহাত্মাগান্ধী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, তার গঠন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন। এই অনুষ্ঠানের অন্যতম সমন্বয়কারীরা ছিলেন ইতিহাস বিভাগের অতিথি অধ্যাপক সৌম্যদীপ খান্ডা এবং অধ্যাপক বিমলেস মান্না। তাঁদের পরিকল্পনা, নিষ্ঠা এবং পরিচালনায় অনুষ্ঠানটি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, আধিকারিক, গবেষক এবং ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিশেষত ছাত্রছাত্রীদের অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। তাঁরা এই অনুষ্ঠানকে আন্তরিকভাবে সমর্থন করেছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

সেমিনারের বিশেষ কিছু মুহূর্ত :

 

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments