কাঁথি : ‘গেট ওয়েল শুন’ বার্তা দিয়ে গ্রিটিংস কার্ড ও গোলাপ নিয়ে সোমবার থেকে কাঁথি’র শান্তিকুঞ্জ অভিযানে নেমেছিল তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনগুলি। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই অভিযানে ইতি পড়ে যায়। তবে নাছোড়বান্দা তৃণমূলের চাতুরিতে রীতিমতো নাজেহাল শুভেন্দু অধিকারী। সোজা পথে না গিয়ে ঘুরপথে শুভেন্দুর হোয়াটসঅ্যাপে ‘গেট ওয়েল শুন’ বার্তা’র বন্যা বইয়ে দিল তাঁরা। যা নিয়ে রীতিমতো নাজেহাল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে শেষ পর্যন্ত সাইবার ক্রাইম থানায় প্রায় ১১০০ নম্বরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন শুভেন্দুর আইনজীবি শ্রীকৃষ্ণ মাইতি। অভিযোগ পত্রে ১১০০টি ফোন নম্বর তুলে দেওয়া হয়েছে। এমন অভিনব অভিযোগ পেয়ে সাইবার ক্রাইম থানাও রীতিমতো হতবাক। সূত্রের খবর, একসঙ্গে এতগুলো ফোন নম্বরের বিরুদ্ধে ‘গেট ওয়েল শুন’ ম্যাসেজ পাঠানোর অভিযোগের তদন্ত কিভাবে হবে তারই কুল কিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউই।
তবে তৃণমূলের দাবী, শুভেন্দু অধিকারীর ফোনে ম্যাসেজ পাঠানোর পাল্টা হিসেবে কু’কথায় ভরা প্রত্যুত্তর মিলেছে। যা নিয়ে মুখ খুলেছেন কাঁথি’র যুব তৃণমূল সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি। তাঁর দাবী, “শুভেন্দু অধিকারী প্রত্যুত্তরে যে পাল্টা ম্যাসেজ দিয়েছেন তা অত্যন্ত কুরুচিকর। তিনি তো প্রতিদিনই প্রকাশ্য সভায় দাঁড়িয়ে প্রতিনিয়ত গালমন্দ করেই চলেছেন। কাওকে বলছেন জুতোর তলায় রাখব, কাউকে কুৎসিত গালি দিচ্ছেন”।
সুপ্রকাশের মতে, “তিনি যেভাবে উল্টোপাল্টা কথা বলে চলেছেন, যে ভাবে ৩ বছরের শিশুর নাম করে মিথ্যে ট্যুইট করেন তার জন্য শুভেন্দুবাবুর মানসিক অবস্থার চিকিৎসা হওয়া জরুরী। এই কারণেই যুব তৃণমূল তাঁর সুস্থতা কামনা করার কর্মসূচী নিয়েছে। একজন বিরোধী দলনেতার এমন মুখের ভাষা আমরা আশা করিনা। প্রয়োজনে ওনার বিরুদ্ধেও আমরা আইনের দ্বারস্থ্য হব”।