নিউজবাংলা ডেস্ক : বন্দুকের টোটায় গোরু ও শূকরের চর্বি মিশ্রিত টোটা ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের অন্যতম অনুঘটক ছিল বলে মনে করা হয়। এবার তেমনই অভিযোগ ঘিরে উত্তাল অন্ধ্রপ্রদেশ সহ সারা দেশ। সাধারণ কোনও মন্দির নয়। অন্ধ্রের তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদী লাড্ডুতেই নাকি ব্যবহার করা হয়েছে পশুর চর্বি। অন্ধ্রপ্রদেশ (Tirupati Laddu) সরকার নিজেই দাবি করেছে।
তাদের দাবি, পূর্বতন জগনমোহন রেড্ডির আমলে এই অনাচার চলেছে। ক্ষমতাসীন হয়েই চন্দ্রবাবু নাইডু গুজরাতের গবেষণাগারে ওই লাড্ডু পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছিলেন। সেই রিপোর্টকে সামনে রেখে তাঁর দাবি করেন, তিরুপতির লাড্ডুতে ব্যবহৃত ঘিয়ের সঙ্গে মেশানো হয়েছে পশুর চর্বি ও মাছের তেল। এই বিতর্কে অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে কেন্দ্ৰ। ঘটনা তীব্র হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোরও।
এরইমধ্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রক অন্ধ্রপ্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। মন্ত্রী ও বিজেপি সভাপতি জগৎপ্রকাশ নাড্ডা বলেছেন, ভয়ঙ্কর অভিযোগ। তিনি এব্যাপারে চন্দ্রবাবুর সঙ্গে কথাও বলেছেন। কেন্দ্রীয় খাদ্য মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী বলেছেন, অন্ধ্রপ্রদেশে খাদ্য নিয়ন্ত্রক পরিষদের কাছেও আমরা রিপোর্ট চেয়েছি। গোটা দেশের হিন্দু সমাজ এই নিয়ে প্রবল উদ্বিগ্ন এবং ক্রুদ্ধ।
[আরও পড়ুন : জাতীয় শিক্ষানীতির নতুন সিলেবাসে বিপুল ছাত্রছাত্রী ‘ফেল’, কলেজে কলেজে তোলপাড়, উপাচার্যের হস্তক্ষেপ দাবী !]
এদিকে, চন্দ্রবাবুর বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জগন্মোহন। তিনি পাল্টা নিশানা করেছেন টিপিপি প্রধানকে। জগন্মোহনের দাবি, রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য তিরুপতির বদনাম করছেন চন্দ্রবাবু। গোটা বিশ্বে তিরুপতির মানসম্মান ধুলিসাৎ করেছেন তিনি। তাঁর প্রশ্ন, হঠাৎ এতদিন পর আগে সরকারের আমলের লাড্ডু যোগাড় করেই গুজরাত ল্যাবে পাঠানো হল? আর পাওয়া গেল পশুচর্বি? এই কাঁচা চিত্রনাট্য অন্ধ্রপ্রদেশবাসী বিশ্বাস করছে না।
বরং তিরুপতি অপমানে গোটা রাজ্য ফুঁসছে। চন্দ্রবাবু কেন অন্ধ্রপ্রদেশের রক্ষাকর্তা তিরুপতি বেঙ্কটেশ্বরকে এভাবে অপমান করছেন? এই দাবিতে কিছুটা হলেও আবার ব্যাকফুটে মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সব দায় চাপিয়েছেন গুজরাত ল্যাবের দিকেই।