কাঁথি : গ্রিটিংস দেওয়ার নামে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাঁথির বাড়ি ‘শান্তিকুঞ্জ’র সামনে কোনও রকম মিছিল বা জমায়েত করা যাবে না বলে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। সেই মতোই তৃণমূলের শান্তিকুঞ্জ অভিযান আপাতত স্থগিত। তবে বেফাঁস মন্তব্য করলে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে লড়াই থামবে না বলেই ইঙ্গিত দিলেন কাঁথি’র তৃণমূল নেতৃত্বরা।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে একটুকরো জমিও বিজেপিকে ছাড়া হবে না বলেই স্পষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল। কাঁথির ভাইস চেয়ারম্যান তথা যুব তৃণমূলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি জানান, সোমবার গোলাপ ফুল এবং গ্রিটিংস কার্ড নিয়ে গিয়েছিল ছাত্র এবং যুবরা। এখন আদালত না চাইলে আমরা যাব না। তবে গোটা রাজ্যজুড়ে বিজেপির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালিয়ে যাব।
সুপ্রকাশের দাবী, “হাই কোর্টের রায় নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে যা পরিস্থিতি আগামী দিনে রাস্তায় যাতে লোক না থাকেন, তার জন্যও উনি আদালতের দ্বারস্থ হবেন। আসলে উনি গোলাপ ফুলের সৌজন্যটুকু নিতে ব্যর্থ। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক”।
তৃণমূল সূত্র খবর, আদালতের নির্দেশে শান্তিকুঞ্জ যাত্রা বন্ধ হলেও বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি-সহ গ্রিটিংস কার্ড শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে দাবী করা হয়েছে। তবে শাসক দলের এহেন কর্মকান্ডের প্রবল বিরোধীতা করেছে বিজেপি।
বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুদাম পণ্ডিত বলেন, “আদালতে কানমলা খেয়েছে তৃণমূল। যে বাড়িতে একজন আশি ঊর্ধ্ব সাংসদ এবং শুভেন্দুর বৃদ্ধা মা রয়েছেন, সেখানে রাজনৈতিক সৌজন্যতার ন্যূনতম পরিচয় না দিয়ে এ সব করছে তৃণমূল। প্রশাসন সব জেনেও চুপ”।
প্রসঙ্গতঃ রবিবার রাতে তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠান নিয়ে একটি টুইট করেন বিরোধী দলনেতা। এর প্রেক্ষিতে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ শুভেন্দুর ‘মানসিক সুস্থতা’ কামনা করে গ্রিটিংস কার্ড এবং গোলাপ ফুল পাঠানোর নিদান দিয়েছিলেন।
সেই মতো সোমবার ‘শান্তিকুঞ্জে’র দিনভর দফায় দফায় অভিযান চালায় তৃণমূলের যুব এবং ছাত্র সংগঠন। এতে মঙ্গলবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। তাতেই এ দিন হাই কোর্ট ওই বাড়ির সামেন জমায়েত না করার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টি পুলিশকে নজরে রাখতে বলা হয়েছে।