নিউজবাংলা ডেস্ক : বাজারে ফুলকপির ছড়াছড়ি, অথচ কেনার লোক নেই। চাহিদার তুলনায় জোগান অতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় পূর্বস্থলীতে পাইকারী বাজারে ফুলকপির দাম এক ধাক্কায় অনেকেটাই কমে গেল। মঙ্গলবার তিন টাকা থেকে সর্বোচ্চ ন’টাকায় এক একটি ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। অথচ সেই ফুলকপিই হাতফের হয়ে (Vegetable Price) কাটোয়া, বর্ধমান শহর ও আশপাশের এলাকার খোলা বাজারে ২৫ থেকে ৩০টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতে যা অবলীলায় ৩০ থেকে ৪০-৫০ টাকা দরেও বিকোচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দু’দিন আগেও এই ফুলকপির পাইকারী দর মাথা পিছু ১০ থেকে ১২টাকা ছিল। কিন্তু সেই দামে আচমকাই পতন ঘটেছে মঙ্গলবার থেকে। পূর্বস্থলীর পারুলিয়া, কালেখাঁতলা, ফলেয়া স্টেশন বাজারগুলিতে একই চিত্র দেখা গিয়েছে। বাজারে জোগান এতটাই বেড়েছে যে অনেক চাষির ফুলকপি বিক্রিই হয়নি। তাঁদের দাবি, গবাদি পশুকে খাইয়ে দিতে হবে। তা না হলে ফুলকপি পচে যাবে।
পারুলিয়া বাজারের আড়তদার মদন সাহা বলেন, বাজারে জোগান বেড়ে যাওয়ার কারণেই আচমকা ফুলকপির দাম কমে গিয়েছে। সর্বনিম্ন দু’-তিন টাকায়, আর বড় সাইজের কপি ন’টাকা দামে বিক্রি করছি। ফলেয়া স্টেশনবাজার এলাকার আড়তদার নারায়ণচন্দ্র ঘোষ বলেন, আমাদের বাজারে মেড়তলা, কালেখাঁতলা, মাজিদা অঞ্চল থেকে চাষিরা সব্জি নিয়ে আসেন। এবার সাড়ে তিন টাকা, চার টাকাতে ফুলকপি বিক্রি করতে হচ্ছে। তাও কেনার লোক পাওয়া যাচ্ছে না।
এখানকার বাজারগুলিতে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার সব্জি বিক্রি হয়। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার সব্জি ব্যবসায়ীরা পূর্বস্থলীর আড়ত থেকে সব্জি সংগ্রহ করেন। সারা বছর নানা রকম শাক-সব্জির আমদানি হয়। ফলনও ভালো হয়। প্রতি বছর শীতের মরশুমে জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ফুলকপির দাম কমে যায়। গত বছর পাইকারি বাজারে এক টাকাতেও ফুলকপি বিক্রি হয়েছে। এবার নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই ফুলকপির দাম কমে গিয়েছে। তবে এই দাম কমার কোনও সুযোগই সাধারণ ক্রেতাদের কাছে পৌঁছচ্ছে না।
সব্জি চাষি নুরুল ইসলাম শেখ বলেন, পাঁচ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। এসময় সব চাষিই একসঙ্গে ফসল তুলে বাজারে নিয়ে এসেছে। জোগান বেড়ে যাওয়ায় এমন অবস্থা হয়েছে। তবে এই ফুলকপিই আবার শহরে বেশি দামে বিক্রি হবে। অথচ আমরা দাম পাব না।
তথ্যসূত্র – বর্তমান পত্রিকা