দিঘা, পূর্ব মেদিনীপুর : দিঘায় প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে থাকা ৪টি হোটেলের বিষয়ে এবার খোঁজখবর নিতে ময়দানে নামল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ ৩ ব্যক্তির আদ্যক্ষর (Jyotipriya Mallick) নিয়ে গড়া সংস্থায় কোথা থেকে টাকা বিনিয়োগ হয়েছিল সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। ইতিমধ্যে রবিবার এই সংস্থার ৩ সদস্যকে দিঘা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় সংস্থাটি আটক করে নিয়ে গিয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর।
দিঘার অত্যন্ত জনপ্রিয় এই হোটেলগুলিতে ইতিমধ্যেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে বলে খবর। সূত্র জানাচ্ছে, হোটেলগুলির মালিকানা ওই গ্রুপের হাতে থাকলেও আদতে পেছন থেকে এটির নিয়ন্ত্রক ছিলেন খোদ জ্যোতিপ্রিয়। যদিও শনিবার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমকে ওই হোটেলগুলির তরফে জানানো হয়েছিল, এগুলির সঙ্গে মন্ত্রীর কোনও যোগ নেই। তবে আজ ৩ জনকে আটকের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে।
“আরও পড়ুন : বোলপুরের পর দিঘা, জ্যোতিপ্রিয় গ্রেপ্তার হতেই আলোচনার কেন্দ্রে নিউ দীঘার চারটি হোটেল !”
প্রসঙ্গতঃ রেশন কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হতেই নিউ দীঘায় চারটি হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনের আদ্যাক্ষর নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ওই চারটি হোটেলের যোগ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। দীঘায় কান পাতলেই এনিয়ে চর্চা শোনা যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠ তিনজনের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে ওই সংস্থা গড়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে। এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার’ ক্যাটাগরির হোটেল। রুমপ্রতি ন্যূনতম ভাড়া ২০০০টাকা। রয়েছে আরও তিনটি নতুন হোটেল। যাদের সর্বনিম্ন ভাড়া ২৮০০টাকা। শনিবার হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন ওই গোষ্ঠীর একটি হোটেলের ম্যানেজারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের হোটেলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও যোগ নেই। কেউ বলে থাকলে সেটা অপপ্রচার।