নিউজবাংলা ডেস্ক : বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের ৪টির মধ্যে ৩টি প্রবেশদ্বার বন্ধ রেখেছিল উড়িষ্যার পূর্বতন নবীন পট্টনায়েকের পরিচালনাধীন সরকার। এর জেরে চরম সমস্যায় পড়তে হত জগন্নাথ দেবের দর্শন করতে আসা পূণ্যার্থীদের। তবে মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েই প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে জগন্নাথ মন্দিরের (Puri Temple) ৪টি গেটই উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন মোহন চরণ মাঝি। বুধবার থেকেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হল বলে জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে মন্দিরের উন্নতিকল্পে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দেরও ঘোষণা করেছেন সদ্য দায়িত্ব নেওয়া মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাঝি জানান, “বিগত সরকার বিভিন্ন কারনে জগন্নাথ দেবের মন্দিরের ৩টি প্রবেশ পথ বন্ধ রেখেছিলেন। এই নিয়ে এলাকার বাসিন্দাদের পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে থাকা জগন্নাথ দেবের ভক্তকুল চরম অসন্তুষ্ট ছিল। আমরা নির্বাচনী ইস্তাহারে ঘোষণা করেছিলেন ক্ষমতায় এলে মন্দিরের সবকটি দরজা সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার শপথ গ্রহণের পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই তাই এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে”। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “ভগবান ও ভক্তের মধ্যে কোনও প্রকার বাধা থাকা উচিত নয়। এই নিয়ে উড়িষ্যার মানুষের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। এই কারণেই দ্রুত বিষয়টিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল”।
আজ বুধবার সকাল ৬.৩০টায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মঙ্গল আরতিতে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী সহ তাঁর দলের বিধায়ক ও সাংসদরা। এরপর নিজে দাঁড়িয়ে থেকেই মন্দিরের সবকটি গেট সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নির্বাচনের সময়ে উড়িষ্যার সাড়ে ৪কোটি মানুষের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আমরা একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। দায়িত্বে আসার পর প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে তাই ৪টি বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জগন্নাথ মন্দিরের দরজা সবার জন্য খুলে দেওয়া। আমরা সেই কাজটিই আজ করে দেখালাম”।
তিনি আরও জানান, “তীর্থযাত্রীদের সমস্যা, মন্দিরের সংস্কার, রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নতিকল্পে মন্দির কর্তৃপক্ষকে ৫কোটি টাকার একটি ফান্ড দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকে। আগামী বাজেট অধিবেশনেই এই সিদ্ধান্ত শিলমোহর দেওয়া হবে। মন্দির তীর্থ পুরীর পাশাপাশি উড়িষ্যার মানুষের সার্বিক উন্নয়নে নতুন সরকার সর্বতোভাবে কাজ করবে”।