NewzBangla Desk : একাধিক দুর্নীতির দায়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। লালবাজার অভিযানে সামিল জুনিয়ার চিকিৎসকদের কাছে এই বার্তা পৌঁছাতেই রীতিমতো উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েছেন তাঁরা। তবে তিলোত্তমার খুনের ঘটনায় দোষীরা এখনও গ্রেফতার না হওয়ায় আন্দোলনকারীরা রীতিমতো ক্ষুব্ধ রয়েছেন।
আন্দোলনকারীদের দাবী, আরজিকরে চিকিৎসকদের (RG Kar Case) সুরক্ষা ব্যবস্থায় বিস্তর ফাঁক থাকলেও দুর্নীতিতেই মজে ছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। তাই তাঁর গ্রেফতারের দাবী প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীরা তুলেছিলেন। তিলোত্তমার মৃত্যুর জন্য প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষে সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন একাংশ আন্দোলনকারীরা। এবার সন্দীপ গ্রেফতার হতেই নতুন উদ্যমে আন্দোলনে জোর দেওয়ার কথা জানালেন জুনিয়ার চিকিৎসকরা।
এদিকে সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতারের খবর শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন আরজিকরে নৃশংস ভাবে খুন হয়ে যাওয়া মহিলা চিকিৎসকের পরিবার। প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় মৃতার বাবা জানান, “শুধু সন্দীপ ঘোষ নয়, আমার মেয়ের খুনীদের সবাইকে যাতে দ্রুত গ্রেফতার করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হয় সেই প্রার্থনাই আমরা করছি”।
মৃতার মা জানান, “সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতারের পর আমরা কিছুটা আশার আলো দেখছি। আমার মেয়ের মৃত্যুর পর থেকে যারা আন্দোলন করছেন তাঁদের কুর্নিস জানাই। তবে মেয়ের খুনে জড়িত সমস্ত দোষীদের গ্রেফতারের দাবীতে আমরা অনড়”। মৃত চিকিৎসকের মা জানিয়েছেন, তিনি শীঘ্রই আন্দোলনরত চিকিৎসকদের মঞ্চে যাবেন। আগামী ৪ সেপেম্বর রাতে তিনি চিকিৎসকদের সঙ্গে আন্দোলনে থাকবেন বলে সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন।
[আরও পড়ুন : আরজিকর নিয়ে অ্যাকশানে কেন্দ্রীয় এজেন্সী, সন্দীপ ঘোষকে গ্রেফতার করল সিবিআই !]
আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, “সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারে তাঁরা অত্যন্ত খুশী। তবে তার গ্রেফতার শুধুমাত্র আর্থিক দুর্নীতির দায়ে হয়েছে। কিন্তু তিলোত্তমার খুনীরা এখনও অধরা। তাই তিলোত্তমার খুনীদের যতক্ষণ না পাকড়াও করা হচ্ছে এবং ধৃতদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই আন্দোলন জারি থাকবে”।
[আরও পড়ুন : আরজিকর মামলায় সন্দীপ ঘোষ গ্রেফতার হতেই বিস্ফোরক মন্তব্য তৃণমূলের দুই হেভিওয়েট নেতার !]
এদিন লালবাজারের সামনে আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকরা আরও জানিয়েছেন, “রাস্তায় যেভাবে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে সেটি না সরানো পর্যন্ত তাঁরা লালবাজারে যাবেন না। ব্যারিকেড সরালে তবেই তাঁরা হিউম্যান ব্যারিকেড বানিয়ে ২০ থেকে ২২ জনের ডেলিগেট দল নিয়ে লালবাজারের ভেতরে গিয়ে ডেপুটেশান দেবেন। তবে লোহার ব্যারিকেড না হঠানো পর্যন্ত তাঁরা নিজেদের দাবীতে অনড় থাকবেন”।