Homeপূর্বমেদিনীপুরMahishadal : জেল হাজতে ঘাতক গাড়ির চালক, অশ্রু স্বজল চোখে মহিষাদলের দুই...

Mahishadal : জেল হাজতে ঘাতক গাড়ির চালক, অশ্রু স্বজল চোখে মহিষাদলের দুই পুলিশ কর্মীকে গার্ড অফ অনার দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ !

spot_img
spot_imgspot_img
- Advertisement -

মহিষাদল : মঙ্গলবার গভীর রাতে হলদিয়া মেছেদা ১১৬নং জাতীয় সড়কের গাড়ুঘাটা বাসস্ট্যান্ডে বেপরোয়া ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ হারিয়েছিলেন কর্তব্যরত দুই পুলিশ কর্মী। সেই ঘটনায় ধৃত ঘাতক ট্রাকের চালক ছোট্ট কুমারকে পুলিশ হেফাজতের (Mahishadal) নির্দেশ দিল হলদিয়া মহকুমা আদালত। এরই পাশাপাশি ময়না তদন্তের পর মৃত সাব ইন্সপেক্টর জয়ন্ত ঘোষাল ও এনভিএফ কর্মী সেক হোসেন খাঁনের মরদেহ নিমতৌড়ি জেলা পুলিশ লাইনে নিয়ে গিয়ে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এরপর  জেলা পুলিশের তত্ত্বাবধানে মৃতদেহগুলি তাঁদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শেষকৃত্যের বন্দোবস্ত করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাতে দুর্ঘটনার পরেই ঘাতক ট্রাকের চালক বিহারের বাসিন্দা ছোট্টু কুমারকে পাকড়াও করে নন্দকুমার থানার পুলিশ। বুধবার তাঁকে মহিষাদল থানায় নিয়ে আসা হয়। সেখান থেকে তাঁকে হলদিয়া মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিচারক ধৃতকে পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে আদালত সূত্রে খবর।

মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় জয়ন্ত ঘোষালের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে কর্তব্যরত একাধিক পুলিশ আধিকারীক ও কর্মীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে। ব্যারাকপুরে কর্মরত এক পুলিশ আধিকারীক জানান, ২০০৬ সাল নাগাদ হলদিয়ার ভবানীপুর থানায় একসঙ্গে কাজ করেছেন তাঁরা। পরবর্তীকালে হাওড়াতেও কাজ করেছেন। তারপর থেকে গত প্রায় দুই দশক ওই অফিসারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন জয়ন্ত। ওই পুলিশ আধিকারীক জানান, জয়ন্তর অকাল প্রয়াণ আমরা কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছি না। আরও একাধিক পুলিশ আধিকারীক ও জয়ন্ত’র সহকর্মীরা একই ভাবে মর্মাহত বলে জানিয়েছেন।

[আরও পড়ুন : মহিষাদলে গভীর রাতে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পুলিশের টহলরত গাড়ি, এক সাব ইন্সপেক্টর সহ ২ পুলিশ কর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু !]

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন গার্ড অফ অনার দেওয়ার পর জয়ন্ত’র মরদেহ হাওড়ার বাগনানে তাঁর বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অন্যদিকে এনভিএফ কর্মী সেক হোসেন খাঁনের মরদেহ কাঁথি থানা এলাকায় তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। যে পরিস্থিতিতে এই দুর্ঘটনা তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ করেছেন একাধিক পুলিশ কর্মী। দিনে ও রাতে জাতীয় সড়কে টহল দেওয়া যে কতটা ঝুঁকিপূর্ণ তা নিয়েই চলছে আলোচনা।

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments