নিউজবাংলা : বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এনডিএ-র বিপুল সাফল্যের পর এবার জাতীয় রাজনীতির নজর ঘুরে গিয়েছে সরাসরি বাংলার দিকে। শুক্রবার (WB Election 2026) রাজধানীতে বিজেপির সদর দফতরে বিজয়োৎসবের আবহেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কণ্ঠে উঠে আসে বাংলা জয়ের বার্তা।
বিহারে জয়ের পর মোদি ঘোষণা করেন, “গঙ্গা বিহার থেকে বাংলায় পৌঁছয়। বিহার বাংলার বিজয়ের রাস্তা তৈরি (Newz Bangla) করে দিয়েছে। বাংলার ভাই-বোনদের আশ্বস্ত করছি— বাংলা থেকেও জঙ্গলরাজ উপড়ে ফেলবে বিজেপি।” তাঁর দাবি, এই সাফল্য তামিলনাড়ু, অসম, পুদুচেরি ও বাংলার সংগঠনে নতুন শক্তি সঞ্চার করবে।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “স্বপ্ন দেখা ভালো, কিন্তু দুঃস্বপ্ন দেখা ঠিক নয়। ২০২৬-এর ভোটই বুঝিয়ে দেবে এই অপমানের জবাব কীভাবে দিতে হয়।” তিনি অভিযোগ করেন, প্রধানমন্ত্রী একশো দিনের কাজের টাকা আটকে রেখে বাংলার সঙ্গে “অগণতান্ত্রিক আচরণ” করছেন।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ আরও তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “বাংলায় কোনও জঙ্গলরাজ নেই। জঙ্গলরাজ ছিল বাম আমলে। সরকারি তথ্যই বলে, বাংলা দেশের নিরাপদ তম রাজ্যগুলির একটি।” তাঁর কটাক্ষ, উন্নাও, হাথরস, প্রয়াগরাজে “আসল জঙ্গলরাজ” চলছে। তিনি স্পষ্ট জানান, “বাংলাকে অপমান করা হচ্ছে, বাংলাভাষীকেও অপমান করা হচ্ছে। এর জবাব ২০২৬-এ আরও গণতান্ত্বিকভাবেই দেবে বাংলার মানুষ।”
প্রধানমন্ত্রী এদিন কংগ্রেসকেও নিশানা করেন। লোকসভা নির্বাচনের পর ছ’টি রাজ্যের ভোটে কংগ্রেস শতাধিক আসনও পায়নি, এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাঁর কটাক্ষ ছিল, ‘মুসলিম লিগ মাওবাদী কংগ্রেস’।
[আরও পড়ুন : ‘মৃত’ ৩৪ লক্ষ, কমিশনের হাতে তালিকা দিল আধার ! ‘ষড়যন্ত্রের’ গন্ধ পাচ্ছে তৃণমূল !]
এদিকে, এনডিএ বিহারে ২০০ আসন পার করার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে লেখেন, বিহারের রায় অনুপ্রবেশকারীদের এবং তাঁদের প্রশ্রয়দাতাদের বিরুদ্ধে মোদি সরকারের নীতির প্রতি আস্থার প্রতীক।
বস্তুত, প্রধানমন্ত্রীর মাখানার পায়েসের উল্লেখ থেকে শুরু করে নীতীশ কুমারের প্রশংসা— বিহারের রাজনীতিই নতুন করে উসকে দিল বাংলার রাজনৈতিক উত্তাপ।















