তমলুক : রেশন কেলেঙ্কারিতে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হতেই নিউ দীঘায় চারটি হোটেল নিয়ে তুমুল চর্চা শুরু হয়েছে। মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ তিনজনের আদ্যাক্ষর নিয়ে একটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা ওই চারটি হোটেল দেখভাল করে। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর (Jotipriya Mallick) সঙ্গে ওই চারটি হোটেলের যোগ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। দীঘায় কান পাতলেই এনিয়ে চর্চা শোনা যাচ্ছে। ঘনিষ্ঠ তিনজনের নামের আদ্যাক্ষর নিয়ে ওই সংস্থা গড়া হয়েছে।
হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন এলাকা এবং তার থেকে খানিকটা দূরে ভিআইপি জোনে পর পর চারটি হোটেল রয়েছে। তারমধ্যে একই নামে দু’টি হোটেল আছে। চারটির মধ্যে একটি হোটেল কেনা হলেও বাকি তিনটি নতুন নির্মাণ করা হয়েছে। আগের রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী ইডির হাতে গ্রেপ্তার হতেই শান্তিনিকেতনে তাঁর ‘দোতারা’ বাড়ির কথা জানা গিয়েছে।
শুধু ওই বাড়ি নয়, এবার নিউ দীঘায় চারটি হোটেলের মালিকানা নিয়ে চর্চা শুরু হল। এমনকী, দীঘাশঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন কর্মকর্তারও বক্তব্য, ওই চারটি হোটেলের সঙ্গে ধৃত মন্ত্রীর যোগ রয়েছে বলে তাঁরা এতদিন জেনে এসেছেন। মন্ত্রীর বিভিন্ন সংস্থার ডিরেক্টরদের তিনজনের আদ্যক্ষর নিয়ে একটি গ্রুপ রয়েছে। সেই গ্রুপ ওইসব হোটেল দেখভাল করে। জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে একটি পুরনো হোটেল কিনে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা খরচ করে ঝাঁ চকচকে করা হয়েছে।
এই মুহূর্তে সেটি ‘থ্রি-স্টার’ ক্যাটাগরির হোটেল। রুমপ্রতি ন্যূনতম ভাড়া ২০০০টাকা। রয়েছে আরও তিনটি নতুন হোটেল। যাদের সর্বনিম্ন ভাড়া ২৮০০টাকা। শনিবার হলিডে হোম ঘাট সংলগ্ন ওই গোষ্ঠীর একটি হোটেলের ম্যানেজারকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, আমাদের হোটেলের সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কোনও যোগ নেই। কেউ বলে থাকলে সেটা অপপ্রচার।
হোটেল মালিক সংগঠনের এক কর্তা বলেন, ২০১৬-‘১৭সাল নাগাদ পর পর ওই হোটেলগুলি হয়। ওইসব হোটেলের সঙ্গে প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর যোগ রয়েছে বলে তখন থেকেই আমরা জেনে আসছি। ইডির হাতে তিনি গ্রেপ্তার হতেই আবারও নিউ দীঘাজুড়ে আলোচনায় এসেছে সেই চারটি হোটেল। জানা গিয়েছে, একটি হোটেল থেকে তিনজন কর্মীকে আটক করেছে ইডি।
- তথ্যসূত্র – বর্তমান পত্রিকা