ময়না : আজ আদালতের নির্দেশ হাতে নিয়ে ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইজমালিচক ফুটবল গ্রাউন্ডে বিকেলে জনসভা করবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভন্দু অধিকারী। তার আগেই পতাকা ঝোলানোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হল বিভিন্ন এলাকায়। বিজেপির দাবী, শুক্রবার রাতে এলাকায় পতাকা লাগাতে গেলে তৃণমূল তাঁদের বাধা দেয় (Moyna Bakcha)। বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলে গেরুয়া শিবির।
পাল্টা তৃণমূলের দাবী, তাঁদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছে বিজেপি। এই নিয়েই দুপক্ষ্যের হাতাহাতি বচসা ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পুলিশ। পরিস্থিতি সামাল দিতে গোটা এলাকায় ব্যাপক পুলিশি প্রহরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে।
বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি আশিস মন্ডল জানান, “বেলা ৩টে ৩০টা থেকে শুরু হয়ে সভার কাজকর্ম। সেই উদ্দেশ্যে শুক্রবার সন্ধ্যে থেকে সভাস্থলের আশেপাশের এলাকায় বিজেপির পতাকা ঝোলাচ্ছিল কর্মীরা। তখনই দেখা যায় তৃণমূলও ব্যাপক পরিমানে পতাকায় মুড়ে ফেলার চেষ্টা করছে ওই এলাকায়। তাঁদের কোনও সভা সমিতি না থাকলেও কেন পতাকা লাগানো হচ্ছিল সেই কথা জানতে চাওয়ায় বিজেপির লোকেদের ওপর হামলা চালানো হয়”।
তাঁর আরও দাবী, “বিজেপির পতাকা ছিঁড়ে ফেলা হয়, আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়”। আশিস জানান, “এরপর তৃণমূল নিজেদের পতাকা ছিঁড়ে ফেলে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে”। আশিসের প্রশ্ন, “এই মুহূর্তে তৃণমূলের কোনও সভা সমিতি না থাকলেও কেন বিজেপির সভাস্থলের আশেপাশে পতাকা লাগানোর হিড়িক পড়ে গিয়েছে, সবটাই কোন্দল করার জন্য”।
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা অনিল কুমার দাসের দাবী, “দুয়ারের সরকার চলছে বলেই এই এলাকায় তৃণমূলের পতাকা লাগানো রয়েছে। বিজেপির ছেলেরাও রাতে পতাকা লাগাতে আসে। এরই মাঝে গভীর রাতে তৃণমূলের পতাকাগুলিকে ছিঁড়ে ফেলে দেয় বিজেপির লোকেরা। বাধা দিতে গেলে তৃণমূলের ছেলেদের বেধড়ক মারধর করে বিজেপির গুন্ডা বাহিনী। পরে পুলিশে খবর দেওয়া হলে এলাকায় পুলিশ টহলদারী শুরু করেছে।
গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার অশান্তির আগুন জ্বলছে ময়নার বাকচা এলাকায়। বিধানসভা নির্বাচনে এই পঞ্চায়েত এলাকার বিপুল ভোট পেয়েছে বিজেপি। সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই নতুন করে অশান্তি দানা বাঁধছে এলাকায়। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ময়না থানার ওসি বদল করে একজন আইসিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বাকচা এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প রয়েছে। আজ বিজেপির সভাকে কেন্দ্র করে নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশের টহলদারীও বাড়ানো হয়েছে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।