নিউজবাংলা : ২০১৬ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় (Primary Teacher Recruitment) অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছিল হাইকোর্টে। অভিযোগ ছিল, নিয়ম থাকলেও কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। এমন অভিযোগেই এবার সিলমোহর দিলেন সে-বছরের ইন্টারভিউয়াররাই। ২৫ জন ইন্টারভিউয়ার স্বীকার করেছেন, সঠিক পদ্ধতিতে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট হয়নি। অনেক প্রার্থীর কোনও অ্যাপ্টিটিউড টেস্টই নেওয়া হয়নি। বোর্ডের তরফে অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট নিয়ে আলাদা কোনও নির্দেশিকাই ছিল না বলেও বয়ানে জানিয়েছেন তাঁরা। তাই অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে কত নম্বর ছিল, তাও তাঁরা জানতেন না।
ইন্টারভিউয়াররা আরও জানিয়েছেন, অ্যাপ্টিটিউড টেস্ট যে নিতে হবে, সে বিষয়ে কোনও কথাই তাঁদের জানা ছিল না। অন্য-এক ইন্টারভিউয়ার রুদ্ধদ্বার শুনানিতে টেস্ট অ্যাপ্টিটিউড গ্রহণের জন্য পৃথক কোনও জায়গাও দেওয়া হয়নি তাঁদের। যে জায়গায় ইন্টারভিউ হয়েছিল, সেখানে কোনও চক বা ব্ল্যাকবোর্ড ছিল না। শুধু বয়ান দেওয়া নয়, লিখিত বক্তব্যে স্বাক্ষরও করেছেন ইন্টারভিউয়াররা।
তারই ফলে এবার খাতায়কলমে নিয়োগপ্রাপ্ত ২৫ হাজার শিক্ষকের ভাগ্য প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়ে গেল বলে মনে করছে আইনি মহল। কারণ অভিযোগ ছিল, মামলাকারীদের চেয়ে কম নম্বর পেলেও অন্তত ২৫ হাজার শিক্ষককে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে এনিয়ে আদালত আগামীতে কী নির্দেশ দেয় এখন সেদিকেই সব পক্ষের নজর।
মামলাকারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইন্টারভিউয়ারদের বয়ান রেকর্ডের নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। গত মঙ্গলবার রুদ্ধদ্বার কক্ষে তিন জেলার ৩০ জন ইন্টারভিউয়ারের বয়ান রেকর্ড করেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শুক্রবার সেই বয়ানের নথি প্রকাশ করে মামলাকারীর আইনজীবী। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যে টেট হয়েছিল তার প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। মোট সাড়ে ৪২ হাজার জনকে চাকরি দেওয়া হয়। এই নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মামলা দায়ের হয় হাইকোর্টে।