কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ভোটপর্ব চলাকালীন নিজের বুথ এলাকার অন্য কোনও পঞ্চায়েত এলাকায় ঘুরতে পারবেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার এই মর্মে শুভেন্দুকে নোটিশ দিয়ে জানিয়ে দিল কাঁথি থানার পুলিশ। পুলিশের নির্দেশ, নির্বাচনের দিন নিজের ভোট দেওয়ার সময় (Suvendu Adhikary) ভোট কেন্দ্রের ভেতর সশস্ত্র দেহরক্ষীদের নিয়েও প্রবেশ করতে পারবেন না শুভেন্দু। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আদতে কাঁথির শান্তিকুঞ্জের বাসিন্দা হলেও বর্তমানে তিনি নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের নন্দনায়েকবাড় বুথের ভোটার।
পুলিশের নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ক্রমে মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট অনুযায়ী ক্যাম্পেন পিরিয়ড শেষ হওয়ার পর কোনও ব্যক্তি তাঁর বুথ এলাকায় বা তার বাইরে গিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশ নিতে পারবেন না। ভোটপর্ব মিটে না যাওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ মানতে হবে। যিনি কনটেস্টিং ক্যান্ডিডেট নন তিনি কোনভাবেই ভোটের দিন নিজের বুথের বাইরে যেতে পারবেন না। সেই সঙ্গে বুথে কোনও দেহরক্ষী নিয়ে ঢুকতেও পারবেন না।
তবে পুলিশের এই নোটিশ পাওয়ার পরেই শুক্রবার সকালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, “একটা অবৈধ লেটার মমতা পুলিশ আমাকে পাঠিয়েছে। আমি বুথের বাইরে যেতে পারব না। বুথের মধ্যে সিকিউরিটি নিয়ে যেতে পারব না। এর বিরুদ্ধেই আমি হাইকোর্টের রেজিষ্ট্রারের কাছে পিটিশান ফাইল করেছি”। শুভেন্দু জানান, “বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে রিট পিটিশান করেছি। বেলা ১টার সময় তিনি মামলা শুনবেন বলে জানিয়েছেন”।
শুভেন্দুর অভিযোগ, “শুধুমাত্র পিসি আর ভাইপো দেহরক্ষী নিয়ে বুথে যেতে পারবে। এটা অনেক দিনের প্র্যাকটিস। এরা খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমানকে প্যারোলে মুক্তি দিয়েছিল। সম্পূর্ণ অবৈধ ভাবে। তার জন্য ওদের পস্তাতে হচ্ছে”। শুভেন্দু জানান, “মহামান্য বিচারপতি আমার পুরো জেলাকে সেনসিটিভ ঘোষণা করে দিয়েছেন। চারিদিকে ঘেরা পড়ে গেছে। সেই কারনেই ভোটের দিন আমাকে আটকে রাখার চক্রান্ত হচ্ছে”।